আরও বৃহত্তর প্লাটফর্মে সরকার বিরোধী আন্দোলনে তৈরি করতে চায় বিএনপি। এজন্য জামাতের সাথে দূরত্ব ঘুচিয়ে আবারও কাছাকাছি আসছে দলটি। বিএনপি’র নীতি নির্ধারক নেতারা বলছেন, বিদেশিদের কাছে জামায়াতকে নিয়ে জুজুর ভয় দেখানো ক্ষমতাসীনদের প্রচারণা এখন ধোপে টিকবে না। ছাড় দেয়ার ইঙ্গিত যুগপৎ আন্দোলনে থাকা শরিক দলের শীর্ষ নেতাদেরও।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সম্পর্কে ফাটল দেখা দেয় বিএনপির দীর্ঘদিনের মিত্র ও জোটসঙ্গী জামাতের। ২০ দলীয় জোট ভাঙলে আর কাছাকাছি হননি দুই দলের শীর্ষ নেতারা। সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ৬৩টি রাজনৈতিক দল বিএনপি’র নেতৃত্বে এক হলেও আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করে জামায়াত। তবে, এখন কাছাকাছি বিরোধী এই দুই দল। ৮ বছর পর গেলো রমজানে এক টেবিলেও দেখা যায় দুই দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের। পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আবারও এক হওয়ার ইঙ্গিত দেন বিএনপি’র নীতি নির্ধারক নেতারা।

যুগপৎ আন্দোলনে অংশ নেয়া বিভিন্ন বাম রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে জামায়াতকে ঘিরে প্রশ্ন ছিলো বরাবরই। যদিও সরকার বিরোধী আন্দোলনে বৃহত্তর প্লাটফর্ম তৈরিতে কিছুটা ছাড় দেয়ার কথা জানান বিএনপি ও শরীক দলের শীর্ষ নেতারা।

আনুষ্ঠানিক কোনো সিদ্ধান্ত না হলেও শিগগিরই নতুন নির্বাচনের দাবিতে সরকারের ওপর চাপ তৈরিতে রাজপথে আবারও সক্রিয় হওয়ার পরিকল্পনা করছে বিএনপি’র হাইকমান্ড।