বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক জহির উদ্দিন স্বপনের ছয়দিন করে জিঙ্গাসাবাদে জন্য আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
আজ শুক্রবার তাদের কনস্টেবল হত্যা মামলায় আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের জিঙ্গাসাবাদে জন্য আবেদন করেন ডিবির পরিদর্শক তরিকুল। অপরদিকে তাদের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ও শেখ শাকিল আহম্মেদ রিপন জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জাকী আল ফারাবী জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে ছয়দিন করে জিঙ্গাসাবাদে জন্য আবেদন মঞ্জুর করেন।
এদিন আসামিদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুুলিশ। অপরদিকে আসামিদের পক্ষে তাদের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত খসরু ও স্বপনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) দিনগত রাত পৌনে ১টার দিকে গুলশানের বাসা থেকে আমীর খসরুকে এবং একই দিন বিকেলে গুলশান থেকে জহির উদ্দিন স্বপনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
উল্লেখ্য, সরকার পতনের এক দফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর মহাসমাবেশ ছিল বিএনপির। কিন্তু সমাবেশ শুরুর আগেই দুপুরে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষটি বিস্তৃত হয়ে বিএনপির সমাবেশের কাছে চলে আসে এবং একপর্যায়ে ফের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয় এবং পুলিশ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। পরে নয়াপল্টনের মঞ্চ থেকে হ্যান্ডমাইকে হরতালের ঘোষণা দেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ভয়াবহ এই সংঘর্ষে একজন পুলিশ সদস্য ও এক রাজনৈতিক কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া ৪১ জন পুলিশ সদস্য ও ২৮ জন সাংবাদিকসহ আরও অনেকে আহত হয়েছেন। পুলিশের হিসাবে, ৫৫টি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। বেশ কয়েকটি পুলিশ বক্স পোড়ানোর পাশাপাশি প্রধান বিচারপতির বাসভবনেও হামলা চালানো হয়।