বিশ্ব রাজনীতির ছক বদলে দেয়া আমেরিকার টুইন টাওয়ারে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার ২৩তম বার্ষিকী আজ। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে বিমান চালিয়ে ধ্বংস করে দেয় আল কায়েদার সন্ত্রাসীরা, যা নাইন ইলেভেন নামে বহুল পরিচিত। ভয়াবহ এই হামলায় প্রাণ হারায় প্রায় তিন হাজার মানুষ। মার্কিন অর্থনীতিতে ক্ষতি হয় একশ’ কোটি ডলার। আর বিশ্বের বহু দেশ এর রেশ টানছে আজও।
প্রায় দুই’শ বছরের যুদ্ধ সহিংসতার পর পৃথিবী যখন কেবলই শান্ত হচ্ছিলো তখনই ইতিহাসের পাতায় নেমে আসে একটি কালো অধ্যায়। ২০০১ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর, জঙ্গীগোষ্ঠী আল-কায়েদার সন্ত্রাসীরা চারটি বিমান ছিনতাই করে হামলা চালায় আমেরিকার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে হামলা চালায় আমেরিকার টুইন টাওয়ার খ্যাত ওর্য়াল্ড ট্রেড সেন্টারে। পর পর দুইটি বিমান হামলায় ধুলোর ঝড় তুলে মাটিতে গুড়িয়ে পড়ে ১১০ তলার দু’টি ভবন।
ঘটনার আকস্মিকতা না কাটতেই জঙ্গীগোষ্ঠী আরও একটি হামলা চালায় আমেরিকার প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর পেন্টাগন ভবনে। সন্ত্রাসীদের পরিকল্পনা অনুযায়ী চতুর্থ হামলাটি চালানোর কথা ছিলো ক্যাপিটাল হিলে কিন্তু ছিনতাই হওয়া বিমানের যাত্রীদের প্রতিরোধের মুখে এটি পেনসিলভেনিয়ার একটি মাঠে বিধ্বস্ত হয়।
ভয়াবহতার এমন চিত্র একবিংশ শতক, এমনকি আগের কয়েক শতকেও নজিরবিহীন। ঐদিন নিউইয়র্ক আর ওয়াশিংটন ডিসিতে ৪টি সিরিজ হামলায় তিন হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানী হয়, যার মধ্যে রয়েছে ৭৭টি দেশের মানুষসহ অনেক বাংলাদেশীও।
শুরুতে অস্বীকার করলেও, ২০০৪ সালে হামলার দায় স্বীকার করে বিশ্বজুড়ে হৈচৈ ফেলে দেন আল কায়েদা শীর্ষ নেতা ওসামা বিন লাদেন। টুইন টাওয়ারে ওই হামলার জেরে ইরাক, সিরিয়াসহ মধ্যপ্রাচ্যের কয়েক দেশ আর আফগানিস্তান দীর্ঘকালব্যাপী এক যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যার রেশ দেশগুলো মানুষ আজও বয়ে চলেছে। যে কারণে নাইন ইলেভেনের স্মৃতি বিশ্বের কোটি মানুষের বুকে দুই দশক পরও দগদগে।