হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হয়ে ইরানের প্রেসিডেন্ট নিহত হওয়ার ঘটনায় শোকস্তব্ধ ইরান। পাঁচদিনের শোক পালন করছে দেশটির নাগরিকরা। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় তাবরিজ শহরে প্রেসিডেন্ট রাইসির জানাজা শেষে মরদেহ তেহরানে নেয়া হবে।

এদিকে, ইরানি প্রেসিডেন্টের হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর ইরান উদ্ধার কাজে আমেরিকার সহযোগিতা চেয়েছিল। তবে তাতে সাড়া দেয়নি ওয়াশিংটন। সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। তবে দেশটি এনিয়ে বিস্তারিত আর কিছু জানায়নি। খবর এএফপির।

মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার সাংবাদিকদের বলেন, এই বিষয়ে তিনি বিস্তারিত বলছেন না। তবে ইরান সরকার যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সহায়তা চেয়েছিল, কিন্তু শেষ পর্যন্ত মূলত ব্যবস্থাপনাগত কারণে সেই সহযোগিতা তারা দিতে পারেননি।

ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি ভারজাগান এলাকায় বিধ্বস্ত হয়। ছবি: রয়টার্স

তিনি জানান, রোববার দুপুরে হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হওয়ার পর সেটিকে খুঁজে পেতে দ্রুত সাহায্য চেয়েছিল ইরান।  মিলার শুধু বলেন, রোববার রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে যোগাযোগ করে ইরান। যুক্তরাষ্ট্র ইরানকে বলে, এ ধরনের পরিস্থিতিতে বিদেশি সরকারের অনুরোধে তারা সাড়া দেয়। এ ক্ষেত্রেও তারা ইরানকে সাহায্য করত। তবে মূলত ব্যবস্থাপনাগত কারণে সেটা সম্ভব হয়নি।

গত রোববারের বিমান দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ ৯ আরোহী নিহত হয়েছেন।

বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর থেকে তেহরানের সঙ্গে ওয়াশিংটনের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তাই দুই দেশের মধ্যে কীভাবে যোগাযোগ হলো- এনিয়ে জানাতে অস্বীকৃতি জানান মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র।