ক্রিমিয়ার পর ইউক্রেনের আরও চার অঞ্চল যুক্ত হলো রাশিয়ার সাথে। শুক্রবার (৩০শে সেপ্টেম্বর) মস্কোর ক্রেমলিন হলে এক অনুষ্ঠানে ইউক্রেনের ৪টি অঞ্চলকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন। তবে রাশিয়ার এই উদ্যোগের নিন্দা জানিয়েছে ইউক্রেন ও পশ্চিমা দেশগুলো। আর একে বিপজ্জনক এবং নিন্দার যোগ্য বলে সমালোচনা করেছে জাতিসংঘ।
২০১৪ সালে ইউক্রেনের কাছ থেকে রাশিয়া ঠিক যে পদ্ধতিতে ক্রিমিয়াকে নিজেদের অংশ করে নিয়েছিলো, সাড়ে আট বছর বছর পর সেই একইভাবেই ইউক্রেনের আরও চারটি অঞ্চল নিজেদের করে নিলো মস্কো। এমন সময়ে অঞ্চলগুলো রাশিয়া অন্তর্ভুক্ত করলো, যখন এসব এলাকা উদ্ধারে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের লুহানস্ক, দোনেৎস্ক, জাপোরিঝিয়া ও খেরসন অঞ্চলে হওয়া গণভোটের ফলাফলে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে বিজয় দাবি করে এই চার অঞ্চলকে রাশিয়ার সাথে যুক্ত করবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলো রাশিয়া। শুক্রবার স্থানীয় সময় বিকেলে মস্কোর ক্রেমলিন হলে অঞ্চল চারটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের করে নেয়ার ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভাদিমির পুতিন। এসময় তিনি বলেন, পাশ্চিমারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে একটি ভয়াবহ যুদ্ধে জড়াচ্ছে। তারা রাশিয়াকে ভাঙতে চায়, তবে তাদের এই অপচেষ্টা কখনও সফল হবে না।
তবে রাশিয়ার এই উদ্যোগ বিপজ্জনক এবং নিন্দার যোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। নিউইয়র্কে সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, রাশিয়ার এ পরিকল্পনার কোনো আইনি ভিত্তি নেই এবং এটি জাতিসংঘের সনদ লংঘনের সামিল। এ ধরণের পদক্ষেপ ইউক্রেনের যুদ্ধকে দীর্ঘায়িত করার পাশাপাশি বিশ্ব শান্তিকে বিঘিœত করবে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের চার অঞ্চলকে রাশিয়ার অন্তর্ভুক্ত করে পুতিন আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করেছে বলে অভিযোগ করেছে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী লিজ ট্রাস। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, ইউক্রেনের ভূখন্ড দখলের এই পাঁয়তারাকে স্বীকৃতি দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। রাশিয়ার ওপর নতুন ধরণের নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকিও দেন তিনি। ইউক্রেনের জন্য ১২’শ ৩০ কোটি মার্কিন ডলারের সহায়তা বিল অনুমোদন করেছে মার্কিন সিনেট।