কক্সবাজারের টেকনাফে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সাগরে মাছ ধরতে যাওয়া ১৩ বাংলাদেশি জেলেকে ধরে নিয়ে গেছে মিয়ানমারের আরাকান আর্মি। গতকাল আরাকান পানিসীমা থেকে তাদের আটক করেছে বলে বিষয়টি মিয়ানমার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্ক’ বরাতে জানা যায়।
স্থানীয়রা জানান, মিয়ানমারের বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মি দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। দিনের পর দিন তারা আমাদের জেলেদের ধরে নিয়ে অমানবিক নির্যাতন করে আসছে। এরকম চলতে থাকলে আমাদের না খেয়ে মরণ ছাড়া কোনো উপায় থাকবে না। এদের লাগাম টানা উচিত। আমাদের জেলেরা কি মাছ ধরবে নাকি আরাকান আর্মির নির্যাতনের শিকার হবে।
মিয়ানমারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ‘গ্লোবাল আরাকান নেটওয়ার্কের প্রতিবেদনে বলা হয়, মিয়ানমারের জলসীমায় অবৈধভাবে মাছ ধরার জন্য জেলেদের আটক করে টহল দল। এর মধ্যে বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে সিত্তে শহরের কো-তান-কাউক গ্রামের প্রায় ২ কিলোমিটার পশ্চিমে ৬ জেলে এবং পৌনে ৯টার দিকে চেইন-খালি উপকূল থেকে প্রায় ৪ কিলোমিটার দূর থেকে ৭ জেলেকে আটক করে তারা।
প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, দ্বিপাক্ষিক সুসম্পর্ক বজায় রাখতে জানুয়ারি থেকে ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে আরাকান কর্তৃপক্ষ ১৮৮ বাংলাদেশি জেলে ও ৩০টি ট্রলার ছেড়ে দেয়। তবে পরবর্তীতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে যথাযথ সম্মান ও প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় ধরপাকড় অব্যাহত রেখেছে আরাকান আর্মি।
টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ এহসান উদ্দিন অপহরণের বিষয়টি তদন্তাধীন আছে বলে জানান।
স্থানীয় সূত্র মতে, ১২০ জনেরও বেশি বাংলাদেশি জেলে এখনও আরাকান আর্মির হাতে বন্দি রয়েছে।












