মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আরও একটি গ্রামে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এতে ৬০ জনের বেশি বেসামরিক নিহত হয়েছে। এরআগে, অমানবিক নির্যাতন করে আরও একটি গ্রামের অর্ধশত মানুষকে হত্যা করেছে সেনা সরকার। এসব হত্যাকাণ্ডকে যুদ্ধাপরাধ বলে তদন্তের দাবি জানিয়েছে রাজনৈতিক সংস্থাগুলো। এদিকে, সাধারণ মানুষকে হত্যার নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ।
সাত মাস ধরে মিয়ানমারের বিভিন্ন রাজ্যে সামরিক বাহিনীর সাথে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর ব্যাপক লড়াই চলছে। বর্তমানে রাখাইন রাজ্যের অধিকাংশ এলাকাই এখন বিদ্রোহীদের দখলে। কিন্তবিদ্রোহীদের কাছে কোনঠাসা হয়ে পড়া সামরিক সেনারা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। নৃশংস হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে রাখাইনের গ্রামগুলোতে।
রাখাইন রাজ্যের থান্ডওয়ে শহরের অন্তর্গত সিংগাউং গ্রামে সামরিক বাহিনীর হামলায় ৬০ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হওয়া গেছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে সেখানে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক মানুষের। গত মঙ্গলবার থেকে ওই গ্রামটিতে নৌবাহিনী, সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনী হামলা শুরু করে। গ্রামের দুই শতাধিক ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে গেছে। সেনাবহিনী থান্ডওয়ে বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকাতেও অবস্থান নিয়েছে।
এক সপ্তাহ আগে রাখাইন রাজ্যের সিত্তওয়ে শহরের অন্তর্গত বাইইন ফিউ গ্রামে দুই দিনের বেশি সময় ধরে আগ্রাসন চালায় সামরিক বাহিনী। লোকজনের চোখ বেঁধে ও গায়ে গরম পেট্রোল ঢেলে মারধর করা হয়। অমানবিক নির্যাতন করে অর্ধশত বেসামরিককে মেরে ফেলে মিয়ানমারের সৈন্যরা। বেসামরিক নাগরিকদের নির্মম হত্যাকাণ্ডকে যুদ্ধাপরাধ উল্লেখ করে জাতিসংঘের কাছে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে কাচিন ন্যাশনাল অর্গানাইজেশন।
এদিকে, রাখাইন রাজ্যে হামলা চালিয়ে সাধারণ মানুষকে হত্যা করার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। পাশাপাশি সেনাবাহিনী ও আরাকান আর্মির সংঘাতের মাঝখানে আটকে পড়া রোহিঙ্গাদের ওপর চলমান নিধন বন্ধেরও আহ্বান জানান তিনি।