অনুমতি ছাড়া পুলিশের ড্রেস পরে ঘুরে বেড়ানো এবং রবীন্দ্র সংগীতসহ বিভিন্ন  বিকৃতি কর্মকাণ্ড করার অভিযোগে হিরো আলমকে ডেকেছিল ডিবি পুলিশ। বুধবার (২৭শে জুলাই) বেলা ১১টা থেকে গোয়েন্দা কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় হিরো আলমকে। জিজ্ঞাসাবাদের পর মুচলেকা দিয়েছেন হিরো আলম। মুচলেখায় উল্লেখ করে হিরো আলম বলেছেন, তিনি আর কখনো বিকৃতভাবে কিছু করবেন না।

আলোচনা সমালোচনার আরেক নাম হিরো আলম। বিভিন্ন সময় গান, অভিনয় ও ভিডিও তৈরির মধ্য দিয়ে থাকেন সমালোচনায়। সম্প্রতি তাকে পুলিশের পোশাক পরে রাস্তায় হিরোগিরী করতে দেখা যায়। তার সে সময়ের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার শেষ নেই। এখানেই থেমে থাকেননি তারপর তাকে বেসুর গলায় রবীন্দ্রসংগীত গাইতে দেখা যায়। এরপর রবীন্দ্র সংগীত প্রেমীরা ক্ষেপে যায় তার ওপর।

নানা কারণের জন্য তার বিরুদ্ধে মহানগর হাকিম আদালতে ২৯ নম্বর কোর্টে ৪৬১/২২ ধারায় মামলা করা হয়েছিল। মামলাটির তদন্ত করা হয়েছিলো রাজধানীর হাতিরঝিল থানায়।

জিজ্ঞাসাবাদে হিরো আলম জানিয়েছেন, মূলত অর্থ রোজগারের জন্যই বিভিন্ন ভাইরাল ইস্যুতে তিনি কন্টেন্ট তৈরি করে থাকেন। এক্ষেত্রে গুণগত মানের চেয়ে ভিউকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।

তার কন্টেন্টে বাংলাদেশ পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনীর পোশাক বিকৃত করে অশোভনভাবে উপস্থাপন করতে দেখা গেছে। এমন অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, অনুমতি ছাড়া এসব পোশাক পরে অভিনয় করা যায় না, সেটি তিনি জানতেন না। জানার ঘাটতি থাকার কারণেই এমন হয়েছে।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিষয় জানানো হয়েছে। এতে জানানো হয়েছে, হিরো আলমের মুচলেকায় তিনটি বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে। সেগুলো হলো-

১. হিরো আলম অভিনয়ের ক্ষেত্রে যেকোনো বিশেষ বাহিনীর পোশাক বিকৃতভাবে উপস্থাপন না করে তা যথাযথ নিয়ম মেনে সঠিকভাবে উপস্থাপন করবেন।

২. বাঙালি সংস্কৃতি বিকৃতভাবে উপস্থাপিত হয় এমন কোনো কন্টেন্ট তৈরি ও প্রচার করবেন না।

৩. জনমনে অসন্তোষ সৃষ্টিকারী, ব্যঙ্গাত্মক, মানহানিকর ও হেয়প্রতিপন্নমূলক কোনো কন্টেন্ট তৈরি ও প্রচার করবেন না।