দেশের উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে আশ্রিতরা নিজেদের বাড়ি-ঘরে ফিরতে শুরু করেছে। শুধু কক্সবাজার জেলায় ঝড়ো বাতাস ও  বৃষ্টি সন্ধ্যায়ও চলতে থাকায় আশ্রয়কেন্দ্রে  এখনও আছে মানুষ। উপকুলীয় দশ জেলায় ৮ লাখের বেশি ঝুঁকিপূর্ণ মানুষকে নিজেদের বসতি থেকে সরিয়ে ঘুর্ণিঝড়কালীন আশ্রয়কেন্দ্রে নেয়া হয়েছিলো। তাদের প্রায় ৮৭শতাংশই কক্সবাজার ও চট্টগ্রামে।

রোববার বিকেল থেকে উপকুলের ঘূর্ণিঝড়কালীন আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর চিত্র পাল্টাতে থাকে। দুপুরজুড়ে ঘূর্ণিঝড় মোখা মিয়ানমারের দিকে চলে যাওয়ায় দেশের উপকুল বড় বিপদে পড়েনি। শুধু কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিসহ সেই অঞ্চলের দ্বীপ ও চরগুলোতে ঝড়-বৃষ্টি হয়।

এই ঘূর্ণিঝড়ের জন্য গত দু’দিন ধরে চেষ্টা করে আজ দুপুর পর্যন্ত উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ ৮ লাখের বেশি মানুষকে বাড়িঘর থেকে ঘূর্ণিঝড়কালীন আশ্রয় কেন্দ্রে নেয়া হয়েছিলো। ঘূর্ণিঝড় কেটে যাবার পরপরই সন্ধ্যা নাগাদ বেশিরভাগ আশ্রয় কেন্দ্র থেকে আশ্রিত উপকুলবাসী বাড়ি ফিরে যায় বিশেষ করে নোয়াখালী, ফেনী, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা ও চাদাপুরের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো পুরো ফাকা হয়ে গেছে।

সবচে বেশি সাত লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয় নেয় কক্সবাজার ও চট্টগ্রামেরআশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে। তাদের মধ্যে চট্টগ্রামের আশ্রয় কেন্দ্রগুলো খালি করে লক্ষ লক্ষ মানুষ বাড়ি ফিরছেন। এই দুই জেলার মধ্যে সবচে ঝুঁকিতে ছিল কক্সবাজার উপকুলের মানুষ। বৃষ্টির কারণে এখনো কক্সবাজারের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে মানুষ আছে বাড়ি ফেরার অপেক্ষায়।

সরকারি হিসাবে কক্সবাজার জেলায় ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র সাত’শ। সেগুলোতে দুপুর পর্যন্ত পর্যন্ত ২ লাখ ৩২ হাজার মানুষ ছিল।

কক্সবাজার উপকুলীয় এলাকায় সবচে ঝুঁকিতে সেন্টমার্টিনসহ কয়েকটি দ্বীপ ও চর। সেন্টমার্টিন দ্বীপে ৩৭টি নিরাপদ আশ্রয় কেন্দ্রে আট হাজারের বেশি মানুষ আশ্রয় নেয়। তারাও বাড়ি ফেরেনি এখনও।

দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকুলে কেউ আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি। সুন্দরবন এলাকা এই ঝড়ে ছিল একদম শান্ত।