আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যাবে না বলে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) ৮টি দেশের কূটনীতিকদের জানিয়েছে দেশের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক শক্তি বিএনপি। শনিবার (১৫ জুলাই) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ইইউ প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি তাদের এ অবস্থান জানায়।
ইইউ দলের সঙ্গে বৈঠক শেষে শনিবার (১৫ জুলাই) বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসাংবাদিকদের বলেন, “আমরা তাদের বলেছি, এই সরকারের আমলে নির্বাচনে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না, এটা সম্ভব নয়। এর পেছনে অনেক কারণ রয়েছে।”আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানান, তারা ইইউ প্রতিনিধি দলকে অবহিত করেছেন যে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনের বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোট দিতে পারবে না এবং জনগণ তাদের প্রতিনিধিও নির্বাচন করতে পারবে না। তিনি বলেন, “এই বিষয়গুলো দিবালোকের মত পরিষ্কার। এগুলো সবাই জানে।”
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আরো বলেন, “বাংলাদেশের নির্বাচনের দিকে সারা বিশ্বের নজর রয়েছে; কারণ তারা জানে, এই সরকারের অধীনে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ, গ্রহণযোগ্য নয়। তাই তারা তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করছে।”
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, “ইইউ টিমকে কেন বাংলাদেশে এসে নির্বাচন নিয়ে মতামত নিতে হচ্ছে? এ জন্য দক্ষিণ এশিয়ার কোনো দেশে তাদের যেতে হয়না। এমনকি, এই লক্ষ্যে বিশ্বের খুব কম দেশেই তাদের যেতে হয়। তাহলে তাদের বাংলাদেশে আসতে হলো কেন? অন্য সবার মতো, তাদেরও এই সরকারের আমলে নির্বাচন নিয়ে একই প্রশ্ন থাকতে পারে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের জনগণ আগামী নির্বাচনে তাদের ভোট দিতে পারবে কি না তা জানতে চেয়েছে ইইউ টিম।”
এর আগে শনিবার (১৫ জুলাই) সকাল ৯টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে দলটির প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইইউ দলের বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য মো. ইসমাইল জবিউল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ, মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ অংশ নেন।ইইউ নির্বাচন অনুসন্ধানী মিশন ৯ জুলাই দুই সপ্তাহের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তাদের একটি পূর্ণাঙ্গ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ মিশন বাংলাদেশে পাঠানো উচিত কিনা, ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন-সহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কথা বলেছে মিশন।