প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি গণমানুষের দল নয়। ক্ষমতা এই দলের কাছে লুটপাটের সুযোগ। তবে আওয়ামী ক্ষমতায় এলে মানুষের কল্যাণে কাজ করে। আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুব মহিলা লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, নারীর শিক্ষা, অর্থনৈতিক উন্নতি এবং ক্ষমতায়নে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আওয়ামী লীগ সেই পথেই হাঁটছে। নারীর উন্নতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে গঠন করা হয়েছিলো নীতিমালা। কিন্তু বিএনপি-জামায়াত জোট ক্ষমতায় এসে সেই নীতিমালাকে বিসর্জন দিয়েছে। নারীর প্রতি বেড়ে গিয়েছিলো নানান ধরণের অত্যাচার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে বিএনপি নির্বাচন নিয়ে কথা বলে। ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে তো কথা হয়নি। জাতীয়-আন্তর্জাতিকভাবে কেউ তো সে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলেনি। ৩০০ সিটের নির্বাচনে বিএনপি কয়টা সিট পেয়েছে? মাত্র ৩০টা সিট। জাতীয় পার্টি পায় ২৭টা সিট। জাতীয় পার্টি আর কয়েকটা সিট পেলে খালেদা জিয়া বিরোধীদলীয় নেতা হতে পারতেন না। এত লাফালাফি কেন? ২০০৮ এর নির্বাচনেই তো এই ফলাফল।
শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হয়, যখন আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকে। আওয়ামী লীগই দেশের মানুষকে কিছু দিতে পারে। বিএনপিসহ যারাই আগে ক্ষমতায় ছিল, দেশের মানুষকে কিছুই দিতে পারেনি। ২১ বছর এ দেশের মানুষ নির্যাতিত, শোষিত ও বঞ্চিত।
তিনি বলেন, সাংবাদিকরা ভুলে গেছেন, ২০০১ সালে দক্ষিণাঞ্চলে কোনো সাংবাদিক ঢুকতেই পারতেন না। সে অঞ্চলে তাণ্ডব চালিয়েছিল। গৌরনদী থেকে একটা গ্রুপ কোটালিপাড়ায় এসে আশ্রয় নিয়েছে ৭১’ এর মতো।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, বিএনপি আমলের নির্যাতন আর ৭১ এর ঘটনার মধ্যে তফাত দেখি না। যুব মহিলা লীগের নেত্রীরাই তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন। ওই সময় একদিকে পুলিশ আরেকদিকে ছাত্রদলের গুন্ডাবাহিনী অকথ্য নির্যাতন করেছে আমাদের মেয়েদের ওপর। রাস্তায় ফেলে কাপড় ছিঁড়ে, চুল ছিঁড়ে যে অত্যাচার করেছে, আমরা এসে কিন্তু সেটা করিনি। আমরা দেশের উন্নয়নে মনোযোগ দিয়েছি।
পায়রা উড়িয়ে যুব মহিলা লীগের সম্মেলন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী
‘প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, বাংলাদেশের মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করছে যুব মহিলা লীগ।’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আক্তারের সভাপতিত্বে ও অধ্যাপক অপু উকিলের সঞ্চালনায় সম্মেলনে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
২০০২ সালের ৬ জুলাই গঠিত হয় যুব মহিলা লীগ। সেসময় নাজমা আক্তারকে আহ্বায়ক ও অপু উকিলকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে ১০১ সদস্যের কমিটি করা হয়। সংগঠনটির প্রথম সম্মেলন হয় ২০০৪ সালে। এতে নাজমা আক্তারকে সভাপতি ও অপু উকিলকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। তিন বছর পর পর সম্মেলনের গঠনতান্ত্রিক বাধ্যবাধকতা থাকলেও ১৩ বছর পর হয় দ্বিতীয় সম্মেলন। ২০১৭ সালের ১৭ মার্চ যুব মহিলা লীগের সর্বশেষ সম্মেলনে ফের নাজমা আক্তার ও অপু উকিল নেতৃত্বে আসেন। এবার নতুন নেতৃত্বের প্রত্যাশা নেতাকর্মীদের।