ইউরোর চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইংল্যান্ডকে ২-১ গোলে  হারিয়ে রেকর্ড চতুথবার্র শিরোপা জিতলো স্পেন। রোববার (১৫ই জুলাই) দিবাগত রাত ১টায় জার্মানির বার্লিনে ইউরোর শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে লড়াইয়ে মাঠে নামে এই দুই জায়ান্ট।

অলিম্পিয়াস্টাডিয়ন বার্লিন স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় মাঠে নামে দু’দল। ম্যাচের ১২ মিনিটে বাম দিক থেকে আক্রমণে ওঠে স্পেন। ডি বক্সের ভেতর থেকে উইলিয়ামসের নেওয়া শট রুখে দেন ইংলিশ ডিফেন্ডার।

এরপরও আধিপত্য বিস্তার করে খেলতে থাকে স্পেন। অন্যদিকে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে আক্রমণে যায় ইংল্যান্ড। তবে তাদের আক্রমণ আটকে যায় অ্যাটাকিং থার্ডে। ১৫তম মিনিটে প্রথমবার আক্রমণে যায় ইংল্যান্ড। ডানপ্রান্ত দিয়ে কাইল ওয়াকার এগিয়ে গেলেও ঠিকঠাক ক্রস করতে পারেননি। প্রতিপক্ষের গায়ে লাগলে কর্নার পায় ইংলিশরা। যদিও তা কাজে লাগাতে পারেনি সাউথগেটের দল।

এরপর  বল দখলে এগিয়ে থাকা স্প্যানিশরা ২৮তম মিনিটে আক্রমণে যায়। ফ্যাবিও রুইজ গোলপোস্ট বরাবর শট করলেও গতি না থাকায় সেযাত্রায় সাফল্য পায়নি স্পেন।

যোগ করা সময়ে ইংল্যান্ডের ফিল ফোডেন শট করলেও তা সহজেই তালুবন্দী করেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমন। ম্যাচের বাকি সময়ে আরও বেশি কিছু আক্রমণ করলেও গোলশূন্য সমতায় থেকে বিরতিতে যেতে হয় দুদলকে।

বিরতির পর শুরুতেই ইংলিশদের মনে বড় ধাক্কা দেয় স্পেন। প্রথমার্ধে নিষ্প্রভ থাকা লামিন ইয়ামাল ইংলিশ রক্ষণকে ঠিকই পরাস্ত করতে সক্ষম হন। তার দারুণ অ্যাসিস্ট থেকে ৪৭ মিনিটে স্পেনকে এগিয়ে দেন নিকো উইলিয়ামস।

এরপর ব্যবধান বাড়ানোর কয়েকটি সুযোগ পায় স্প্যানিশরা। ৪৯ মিনিটে দানি অলমোর শট পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। ৫৫ মিনিটে ইয়ামালের পাস থেকে দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন অধিনায়ক আলভারো মোরাতা। কিন্তু ইংলিশ গোলরক্ষক জর্ডান পিকফোর্ডকে পরাস্ত করতে পারেননি তিনি।

স্পেনকে চড়াও হতে দেখে একাদশে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেন ইংলিশ কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। সেমিফাইনালের মতো ৮০ মিনিটে অপেক্ষা করেননি। ৬০ মিনিটে মাঠ থেকে তুলে নেন  অধিনায়ক হ্যারি কেইন। ৭০ মিনিটে কোবি মাইনুর জায়গায় মাঠে নামেন কোল পালমার। তিন মিনিটেরও কম সময়ের ভেতর ইংল্যান্ডকে সমতাসূচক গোল এনে দেন তিনি।

৭৩ মিনিটে বল পেয়ে ডান দিক দিয়ে কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠেন বুকায়ো সাকা। পাস দেন বক্সে থাকা জুড বেলিংহ্যামকে। তিনি অবশ্য প্রথম স্পর্শেই তা পাঠান কোল পালমারের কাছে। ২০ গজ দূর থেকে দুর্দান্ত এক শটে ইংল্যান্ডকে সমতায় ফেরান এই ফরোয়ার্ড। এরপর অবশ্য কিছুটা ধুঁকছিল স্পেন। কিন্তু খুব বেশিক্ষণের জন্য নয়। দ্রুতই নিজেদের সামলে নিয়ে আদায় করে নেয় জয়সূচক গোল। আর সেটা আসে মিকেল ওয়ারসাবালের পা থেকে। ৮৬ মিনিটে মার্কো কুকুরেয়ার নিঁখুত পাসে কেবল টোকা মেরে ইংলিশ গোলরক্ষককে পরাস্ত করেন তিনি।

সেই টোকাতে আবারও উড়ে যায় ইংল্যান্ডের স্বপ্ন। ইউরোর ইতিহাসে এবারই প্রথম কোনো দল টানা দুই আসরে ফাইনাল খেলেও পায়নি শিরোপার স্বাদ। তাই নিজেদের অভাগা ভাবা ছাড়া আর কিছুই করার নেই বেলিংহ্যাম-কেইনদের।