অধিকৃত ক্রিমিয়ার রুশ নৌবহরের সদর দফতরে হামলায় কমান্ডার অ্যাডমিরাল ভিক্টর সোকোলোভসহ ৩৪ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে ইউক্রেন। সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ দাবি করে কিয়েভ। গত শুক্রবার রুশ নৌবহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইউক্রেন।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এ হামলার দাবি করে কিয়েভ। এর আগে গত শুক্রবার রুশ নৌবহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইউক্রেন। পরে কমান্ডার সোকোলোভের নাম ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রকাশ করেছে ইউক্রেন প্রশাসন। তবে এই দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ দেখায়নি তারা।
সেভাস্তোপোলে হামলাটি ছিল মস্কোর জন্য বড় আঘাত। কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বন্দরটি গত কয়েক মাস ধরে নিয়মিত ইউক্রেনীয় হামলার শিকার হচ্ছে। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
ইউক্রেনের স্পেশাল ফোর্স বলেছে, কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহরের কমান্ডারসহ ৩৪ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। এছাড়াও ১০৫ জন দখলদার আহত হয়েছেন।
ক্রিমিয়ায় বৃহত্তম শহর সেভাস্তোপোলে শুক্রবার হামলার পর ভবন থেকে ধোঁয়া উড়তে দেখা গেছে।
ইউক্রেনীয় স্পেশাল ফোর্স আরও বলেছে, নৌবহরের সদর দফর মেরামতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।
তবে মস্কো জানিয়েছে, সেভাস্তোপলে ইউক্রেনের হামলার ফলে তাদের একজন সেনাকর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। যদিও অ্যাডমিরাল ভিক্টর সোকোলোভের মৃত্যুর বিষয়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করেনি। তিনি ছিলেন ব্ল্যাক সি ফ্লিটের কমান্ডার এবং রাশিয়ার একজন অন্যতম শীর্ষ নৌ-কর্মকর্তা।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রাশিয়া ২০১৪ সালে ক্রিমিয়াকে নিজ ভূখণ্ডের সঙ্গে একীভূত করে নেয়। এই উপদ্বীপের সেভাস্তোপোলে রাশিয়ার কৃষ্ণসাগর নৌবহরের সদর দপ্তর অবস্থিত। রাশিয়ার দখল থেকে ক্রিমিয়া পুনরুদ্ধারের অঙ্গীকার করেছে ইউক্রেন। সম্প্রতি উপদ্বীপটিতে হামলা জোরদার করেছে কিয়েভ।