ঘুসগ্রহণ, মানবপাচার, সহায়তার অস্ত্র ও ত্রাণসামগ্রী চোরাই পথে বিক্রির অভিযোগে একসঙ্গে সেনাবাহিনীর ৩৩ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। শুক্রবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে তিনি এ তথ্য নিশ্চিত করে সংবাদ প্রচার করে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দুর্নীতির অভিযোগ ইউক্রেনের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি আস্থাকে ক্ষুণ্ন করে। যুদ্ধক্ষেত্রের অভিজ্ঞতা আছে এবং গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা যাচাই করা হয়েছে এমন কর্মকর্তাদের এসব পদে নিয়োগ দেওয়া হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে জেলেনস্কি বলেছেন, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে নগদ ও ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণ বা লড়াইয়ের যোগ্য লোকদের ইউক্রেন ছেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করার মতো অভিযোগ রয়েছে।
ইউক্রেনের সাধারণ সেনা সমাবেশের নিয়ম অনুসারে যুদ্ধে সক্ষম ১৮ বছরের বেশি বয়সী সব পুরুষরা সেনাবাহিনীতে নিয়োগের উপযুক্ত। এছাড়া ৬০ বছরের কম বয়সী প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষদের দেশ ত্যাগ করা নিষিদ্ধ।
জেলেনস্কি বলেছেন, আমরা সব আঞ্চলিক সামরিক কমিসারদের বরখাস্ত করছি। এই ব্যবস্থাটি এমন লোকদের দ্বারা চালিত হওয়া উচিত যারা জানেন যুদ্ধ কী এবং কেন যুদ্ধের সময়ে হতাশাবাদ এবং ঘুষ নেওয়া উচ্চ রাষ্ট্রদ্রোহিতা।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া যুদ্ধে নিহত সেনাদের সংখ্যা ইউক্রেন বা রাশিয়া কেউই প্রকাশ করেনি। তবে উভয় দেশ সেনা নিয়োগের চেষ্টা করে যাচ্ছে।