আমেরিকার সরবরাহ করা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলা চালানোর পর ইউক্রেনে হামলার আশঙ্কা বেড়েছে। বড় হামলার শঙ্কায় ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। ইতালি, গ্রিস এবং স্পেনও কিয়েভে তাদের দূতাবাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে।

মার্কিন দূতাবাসে নিয়োজিত কর্মীদের পাশাপাশি শহরটিতে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কর্তৃপক্ষ। এক বিবৃতিতে মার্কিন দূতাবাস বলেছে, কিয়েভে ব্যাপক বিমান হামলার আশঙ্কা রয়েছে। এ কারণে ‘অতিরিক্ত সতর্কতাবশত’ দূতাবাস সাময়িকভাবে বন্ধ করা হচ্ছে। দূতাবাসের কর্মীদের নিরাপদ জায়গায় আশ্রয় নেয়ার নির্দেশ দেয়া হচ্ছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, কিয়েভে বিমান হামলার সতর্কতা ঘোষণা হওয়া মাত্রই মার্কিন নাগরিকদের অবিলম্বে নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইউক্রেনীয় রাজধানীতে সম্ভাব্য রুশ বিমান হামলার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার পরই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে ওয়াশিংটন। যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের পর বিভিন্ন দেশ একই ধরনের পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কার সাময়িক সময়ের জন্য দূতাবাস বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে স্পেন। স্পেনের ইএফই নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র সেখানে দূতাবাস বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়ার পরই স্পেনও একই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরবর্তীতে গ্রিসও এক ঘোষণায় জানিয়েছে, তারা দূতাবাস বন্ধ রাখবে।

গতকাল মঙ্গলবার রাশিয়ার অভ্যন্তরে মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। বাইডেনের অনুমোদনের পর ওই হামলা চালানো হয়। এর জবাবে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাশিয়া বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবহার যুদ্ধের নতুন ধাপ। এর জবাব যথাযথভাবে দেয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে মস্কো।