বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়ন পরিষদের দুই সদস্যের বিরুদ্ধে এক সংরক্ষিত নারী সদস্যকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় সদর থানায় মামলার পর পুলিশ দুই ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে।

গত রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের শিকার ওই নারী সদস্য মামলা করলে পুলিশ গতকাল সোমবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে।

তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মন্তাজ আলী জানান, মঙ্গলবার দুপুরে দুই ইউপি সদস্যকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতার দুই ইউপি সদস্য হলেন- বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য নামুজা বগারপাড়া গ্রামের মৃত আবদুর রশিদের ছেলে রুবেল হোসেন (৩৮) ও ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য নামুজা শাহপাড়ার গরীবুল্লাহর ছেলে বজলুর রশিদ (৫১)।

এজাহারে ওই নারী ইউপি সদস্য অভিযোগ করেছেন, গত রোববার দুপুরে পরিষদে টিসিবির কার্ড নিয়ে আলোচনা চলছিল। আলোচনা শেষে অনেকেই চলে যান। বেলা ২টার দিকে ৪নং ওয়ার্ডের সদস্য রুবেল মিয়া তাকে হলরুমে ডেকে নেন। সেখানে আগে থেকেই অপর ইউপি সদস্য বজলুর রশিদ বসেছিলেন। এ সময় ইউপি সদস্য রুবেল হোসেন ও বজলুর রশিদ তাকে মার্কেট করার জন্য টাকার প্রলোভন দেন। এরপর তাকে জাপটে ধরে যৌন নিপীড়ন চালান। তিনি (নারী সদস্য) চিৎকার দিলে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

পরদিন সোমবার সদর থানায় দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। পুলিশ রাতেই তাদের গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

নির্যাতনের শিকার ইউপি সদস্য বলেন, তিনি জনপ্রতিনিধি, তার সম্মান নষ্ট করা হয়েছে। তিনি তার যৌন নিপীড়ের সঙ্গে জড়িত দুই সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

সদর থানার ওসি সেলিম রেজা জানান, নারী ইউপি সদস্যের অভিযোগটি মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করা হয়েছে। গ্রেফতার দুই ইউপি সদস্যকে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে নামুজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম জানান, ওই নারী সদস্য ও দুই পুরুষ সদস্য পরিষদে প্রায়ই একে অপরের সঙ্গে ইয়ার্কি করে থাকেন। ঘটনার দিন দুপুরে তিনি ইউএনও অফিসে মিটিংয়ে ছিলেন। নারী সদস্য তার কাছে অভিযোগ করেছেন, তাকে রুবেল ও রশিদ যৌন নিপীড়ন করেছেন। তখন তিনি তাকে আইনের আশ্রয় নিতে পরামর্শ দিয়েছেন।