ইতালির ভেনিসে ফ্লাইওভার থেকে যাত্রীবাহী বাস নিচে পড়ে ২ শিশুসহ অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছে। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার পৌনে ৮টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও অনেকে। হতাহতদের মধ্যে ইতালি ছাড়াও বিভিন্ন দেশের নাগরিক রয়েছেন।
বিবিসি জানিয়েছে, বাসটি ফ্লাইওভারের বাধা ভেদ করে মেস্ত্রে জেলার রেলপথের কাছে পড়ে যায়, যা একটি সেতুর মাধ্যমে ভেনিসের সঙ্গে সংযুক্ত। ফ্লাইওভার থেকে নিচে পড়ার পর বাসটিতে আগুন ধরে যায়। তবে দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি।
কর্মকর্তারা বলছেন, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি ফ্লাইওভারের ব্যারিয়ার ভেঙে মেস্ত্রে জেলার রেলপথের কাছে পড়ে যায়। এই এলাকাটি ওই সেতুর মাধ্যমে ভেনিসের সাথে সংযুক্ত। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন ইউক্রেনীয়, একজন জার্মান এবং ইতালীয় গাড়িচালক রয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিটি প্রিফেক্ট মিশেল ডি বারি।
ভেনিসের মেয়র লুইগি ব্রুগনারো বলেছেন, ‘বিশাল ট্র্যাজেডি’ ঘটেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি বলেছেন, ‘একটি সর্বনাশা দৃশ্য, বলার কোনও ভাষা নেই।’
এছাড়া কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছে, বাসটি মিথেন গ্যাসের মাধ্যমে চলত এবং বিদ্যুতের লাইনে পড়ে সেটিতে আগুন ধরে যায়। এমনকি মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাত্তেও পিয়ান্তেডোসি।
অবশ্য দুর্ঘটনার কারণ এখনও জানা যায়নি এবং উদ্ধারকর্মীরা ঘটনাস্থলে কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৮ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে, তাদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন। এছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) কমিশনের সভাপতি উরসুলা ফন ডার লেইন বলেছেন, তিনি এই ‘গভীর বেদনার মুহূর্তে’ ইতালীয় নেতাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
ইতালিতে অবশ্য এর আগেও মারাত্মক সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০১৩ সালে দক্ষিণ ইতালীয় শহর মন্টেফোর্টে ইরপিনোর কাছে একটি কোচ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার পর ৩৮ জন নিহত হয়েছিল।