বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের একজন সাকিব আল হাসান, এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই। ২০০৬ সালে অভিষেকের পর থেকে দীর্ঘ ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে লাল-সবুজ জার্সিতে কুড়িয়েছেন নানান খ্যাতি, গড়েছেন রেকর্ডের রেকর্ড, বরাবরই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার হিসেবে করছেন রাজত্ব। বাইশ গজের বাইরেও ‘হট ফিগার’ বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার।
গত বিপিএলের আগে আচমকা সাকিব আল হাসান জানিয়েছিলেন, সময় পেলে একমাসের মাঝেই ঘরোয়া ক্রিকেটের বড় এই আসরের পুরোটা বদলে ফেলতে সক্ষম তিনি। সেই সময় ব্যাপক আলোচনা হয়েছিল সাকিবের এমন বক্তব্য নিয়ে। বাংলাদেশের এই অলরাউন্ডার খেলার বাইরেও যে দক্ষ সংগঠক সেটার প্রমাণও দিয়েছেন বহুবারই।
সাকিবের ইচ্ছা আছে বাংলাদেশের ক্রিকেটের সঙ্গে অবসরের পরও সংযুক্ত থাকার। সুযোগ পেলে বিসিবির ইতিহাসের সেরা সভাপতি হওয়ার ঘোষণা দিয়ে রাখলেন সাকিব।
গতকাল শুক্রবার (১২ জানুয়ারি) দুবাইভিত্তিক ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ টি-টেনের দল বাংলা টাইগার্সের প্রকাশিত এক ভিডিওতে একথা জানান সাকিব। বিসিবি সভাপতি হওয়া প্রসঙ্গে সাকিব বলেন,‘সভাপতি হতে পারলে ভালো লাগবে, বাকিটা তো জানিনা। আমি বিশ্বাস করি, আমি যখন যাব অবশ্যই বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা সভাপতি হবো। পারি না পারি সেটা পরের কথা।’
বর্তমান সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে অবশ্য প্রশংসায় ভাসাতে ভুল করেননি তিনি, ‘পাপন ভাই এতদিনে অনেক কিছু করে ফেলেছেন। তার এই অর্জনকে ছোট করে দেখার কিছু নেই। আমি বিশ্বাস করি আমি যখন যাব তখন বাংলাদেশের ইতিহাসের সেরা বিসিবি সভাপতি হবো। এটা আমার বিশ্বাস। পাই না পাই এটা পরের কথা। চিন্তাই যদি না থাকে সেরা হওয়ার, সেরা কাজটা কীভাবে করব?’
সাকিবের পাশাপাশি ক্রিকেট ভক্তদের মাঝে আগ্রহ আছে মাশরাফি বিন মোর্তুজাকে সভাপতি পদে দেখার। যদিও গঠনতন্ত্রের আলোকে পুরো প্রক্রিয়াতে অনেকটা পথ বাকি।
আইসিসির গাইডলাইন অনুযায়ী বোর্ডের সভাপতিকে অবশ্যই নির্বাচিত সভাপতি হতে হবে। তাকে নির্বাচন ছাড়া মনোনীত করার সুযোগ নেই। আর বোর্ড সভাপতি পদে প্রার্থিতা করবেন যিনি, তাকে হতে হবে বোর্ডের পরিচালক। এজন্য সাকিব এবং মাশরাফিকে নিজের জেলার ক্রিকেটে পরিচালকের পদে বসতে হবে।
সাকিব-মাশরাফির পক্ষে এখনই ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি পদে বসা হচ্ছে না, জানিয়েছেন নাজমুল হাসান পাপন নিজেও, ‘আমার মনে হয় একটা হতে পারে আইসিসির মেয়াদটা শেষ হয়ে গেলে তখন একটা চিন্তা করে ওদের সাথে কথা বলে বের হয়ে আসার সুযোগ আছে। তবে সেক্ষেত্রে অবশ্যই এখন যারা বোর্ডের ডাইরেক্টর আছে তাদের মধ্যে থেকে একজন হবে। মানে বাইরে থেকে কারও আসার কোনো সুযোগ নেই।’