দক্ষিণ আফ্রিকায় তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় তুলে নিয়েছে নিগার সুলতানারা। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে এটাই বাংলাদেশের প্রথম জয়।

রোববার দক্ষিণ আফ্রিকার বেনোনিতে আগে ব্যাটিং করে ১৫০ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল বাংলাদেশ। জবাবে বাংলাদেশের বিধ্বংসী বোলিংয়ে ১৩৬ রানে থেমেছে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস। ১৩ রানের স্মরণীয় জয় নিয়ে প্রোটিয়াদের বিপক্ষে সিরিজ শুরু করেছে লাল-সবুজ মেয়েরা। সেই সঙ্গে ১-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে গেলো টাইগ্রেসরা।

১৫০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে কোন উইকেট না হারিয়ে ৫৪ রান তুলে প্রোটিয়া দুই ওপেনার। মিডেল ওভারে স্বাগতিকদের স্পইন ঘূর্ণি জালে আটকে ধরেন ফাহিমা খাতুন ও রাবেয়া খান।

দলীয় ৬৯ রানে প্রোটিয়ারা প্রথম উইকেট হারায়। এরপর শুরু হয় স্পিনার স্বর্ণা আক্তারের ঘূর্ণি জাদু। এক প্রান্তে ওপেনার অ্যানেকে বসচ দাঁড়িয়ে থাকলে অপরপ্রান্ত থেকে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিতে থাকেন টাইগ্রেস স্পিনার স্বর্ণা। এই লেগ স্পিনারের ৫ উইকেটেরইদিনে প্রোটিয়াররা শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রানে থামে। স্বাগতিকদের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন ওপেনার বসচ।

এর আগে ব্যাট করতে নেমে সাবধানে শুরু পায় টাইগ্রেসরা। ব্যাটিং পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৫ রান যোগ করে দুই ওপেনার শামিমা সুলতানা ও মুর্শিদা খাতুন। তবে ইনিংসের সপ্তম ওভারে ২৪ বলে ২৪ রান করে সাজঘরে ফেরেন শামিমা। এরপর দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ক্রিজে নামেন সুবহানা মুস্তারি।

মুর্শিদা খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে দলের রানের চাকা সচল রাখেন মুস্তারি। দ্বিতীয় উইকেটে ৩৯ রান যোগ করে এলিজের বলে লেগ বি ফোরের ফাঁদে পড়েন সুবহানা। দলীয় ৮৩ রানে দুই উইকেট হারালেও তৃতীয় উইকেটে এসে আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতে থাকেন টাইগ্রেস অধিনায়ক।

মুর্শিদাকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ নারী দলের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ইতিহাসের পঞ্চম সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ এনে দেন জ্যোতি। প্রোটিয়া বোলারদের ওপর চড়াও হয়ে শেষ ৪২ বলে টাইগ্রেস স্কোরবোর্ডে ৬৬ রান যোগ করেন এই দুই টপ অর্ডার। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৪৯ রানের বড় পুঁজি পায় বাংলাদেশ। সর্বোচ্চ ৬২ রান করে অপরাজিত থাকেন ওপেনার মুর্শিদা। জ্যোতি খেলেন ২১ বলে ৩৪ রানের দুর্দান্ত এক ক্যামিও ইনিংস।