ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ফুলপরী খাতুন নামে এক নবীন ছাত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীর হলের আবাসিক সিট বাতিল করা হয়েছে। তাদের আগামী পহেলা মার্চের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ। তদন্ত কমিটির সাথে বৈঠকের পর আজ (সোমবার) এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল কর্তৃপক্ষ।

বহিষ্কৃত ছাত্রীরা হলেন- ইবি ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা, ছাত্রলীগ কর্মী ফিন্যান্স ও ব্যাংকিং বিভাগের তাবাসসুম ইসলাম, আইন বিভাগের একই শিক্ষাবর্ষের ইসরাত জাহান মীম, ফাইন আর্টস বিভাগের হালিমা খাতুন উর্মী ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের মোয়াবিয়া। অন্তরা ছাড়া সবাই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. আহসানুল হক জানান, দুপুরে হলে ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় আলোচনায় বসেন হল প্রশাসনের তদন্ত কমিটি, প্রভোস্ট এবং হল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। ঘটনা যাচাই-বাচাই করে সবার সর্বসম্মতিক্রমে অভিযুক্ত পাঁচ ছাত্রীর আবাসিকতা বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রীর ভাষ্য, বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরীর নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা তাঁকে নির্যাতন করেন। গত ১২ই ফেব্রুয়ারি রাতে দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের গণরুমে এ ঘটনা ঘটে। নির্যাতনের সময় তাঁকে বিবস্ত্র করে ভিডিও ধারণ, গালাগাল ও ঘটনা কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ওই ছাত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, হলের প্রাধ্যক্ষ ও ছাত্র উপদেষ্টার কাছে এবিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেন। এ ঘটনায় রিট হলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ঘটনা তদন্তে কমিটি গঠনের পাশাপাশি কিছু নির্দেশনা দেন হাইকোর্ট।

ওই ঘটনার পরিপ্রক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত কমিটি গঠন করে। গতকাল রোববার হল প্রভোস্ট শামসুল আলমের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

এ ঘটনায় গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। আজ ছাত্রলীগ তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ফুলপরীকে নির্যাতনের সত্যতা পাওয়া গেছে।