ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে ঐক্যমত্যের অবস্থা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, ইভিএম বিষয়ে আমরা এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। ইভিএম নিয়ে বিভিন্ন ধরনের কথা-বার্তা হচ্ছে গণমাধ্যমে। আমরা সবাইকে জানিয়েছি, ইভিএম নিয়ে এখনো কোন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
আজ রোববার (১৯শে জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের সম্মেলন কক্ষে ১৩টি রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ইভিএম বিষয়ক মতবিনিময় সভায় শুভেচ্ছা বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক ৩৯টি দলকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন যাচাইয়ের সুযোগ দিচ্ছে ইসি। এজন্য তিন ধাপে ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানাবে ইসি। এরই ধারাবাহিকতায় আজ প্রথম ধাপে ১৩টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
এছাড়া নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে নিবন্ধিত বাকি দলগুলোর সাধারণ সম্পাদককে চিঠি দিয়েছে। এক্ষেত্রে দলগুলো চার সদস্যের কারিগরি টিম/প্রতিনিধি পাঠাতে পারবে। দ্বিতীয় ধাপে ২১ ও শেষ ধাপে ২৮শে জুন রাজনৈতিক দলগুলোকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
আজকের সভায় তিনি বলেন, ‘আমরা কারো ওপর কোনো মতামত চাপিয়ে দিতে পারি না, চাপিয়ে দেব না। সে ধরনের কোনো ইচ্ছে আমাদের নেই। আমাদের উদ্দেশ্য হলো ইভিএম সম্পর্কে আপনাদের ধারণা দেওয়া। আপনাদের প্রশ্ন যদি থাকে সেগুলো আপনারা উপস্থাপন করবেন। আমাদের যারা ইভিএম সম্পর্কে বোঝেন, তারা আপনাদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করবেন।
ইসির হাতে বর্তমানে ১ লাখ ৫৪ হাজার ইভিএম রয়েছে, যা দিয়ে সর্বোচ্চ ১০০ আসনে ভোট করা যাবে। ৩০০ আসনে এই মেশিন ব্যবহার করতে হলে আরও তিন লাখের মতো মেশিনের প্রয়োজন।
আজ আমন্ত্রণ পাওয়া দলের মধ্যে রয়েছে, জাতীয় পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপি, জাকের পার্টি, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ, গণফোরাম, গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট-বিএনএফ, জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলন এনডিএম ও বাংলাদেশ কংগ্রেস।
