বন্দুকহামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। বৃহস্পতিবার (তেসরা নভেম্বর) দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি লংমার্চে নেতৃত্ব দেওয়ার সময় ইমরান খানের গাড়িবহরে গুলির ঘটনা ঘটে। এসময় পায়ে গুলিবিদ্ধ হন পিটিআই প্রধান। তবে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে জানিয়েছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম।
আহত ইমরান খানকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সন্দেহভাজন হামলাকারীকেও সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি এরই মধ্যে ইমরান খানকে হত্যাচেষ্টার কথা স্বীকারও করেছেন। গ্রেফতার ব্যক্তি বলছেন, ইমরান খান জনগণকে বিভ্রান্ত করছিলেন। বিষয়টি মেনে নিতে না পারায় সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলা করা হয়েছে।
পিটিআই চেয়ারম্যানকে হত্যার উদ্দেশ্যেই তিনি গুলি চালিয়েছিলেন বলেও হত্যার চেষ্টা ও হামলার স্বীকারোক্তিমূলক বক্তব্যে জানান হামলাকারি।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন’র খবরে বলা হয়, হামলার পর ওই ব্যক্তিকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে তাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এ সময় তিনি হামলার বিষয়টি স্বীকার করেন।
ওই ব্যক্তি আরও বলেন, আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছি ইমরান খানকে হত্যা করার। শুধু তিনিই আমার টার্গেট ছিলেন, অন্য কেউ নন। ইমরান খান লাহোর ছেড়ে যাওয়ার পর তাকে আমি হত্যার পরিকল্পনা করেছিলাম।
এ সময় তার সঙ্গে কোনো সঙ্গী আছে কিনা জানতে চাওয়া হয়। ওই ব্যক্তি জানান, তার সঙ্গে দ্বিতীয় কেউ ছিল না। তিনি একাই এ হত্যাকাণ্ড চালাতে চেয়েছিলেন।
সন্দেহভাজনকে জিজ্ঞাসাবাদের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
এর আগে পাঞ্জাবের ওয়াজিরাবাদে পিটিআই’র লংমার্চে হামলায় গুলিবিদ্ধ হন ইমরান খান। তাকে লাহোরের শওকত খানুম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য স্থানান্তর করা হয়েছে। হাসপাতালে জরুরি বিভাগে তার অস্ত্রোপচার হয়েছে। এ ব্যাপারে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
হামলার এ ঘটনায় ইমরান ছাড়াও আরও দুজন আহত হন। তারা হলেন- সিনেটর ফয়সাল জাভেদ ও আহমেদ চাত্তা। তারাও চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।