চলতি বছরের শেষ নাগাদ ইরাকে যুদ্ধের দায়িত্ব শেষ করার ঘোষণা দিয়েছেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। গতকাল সোমবার ওয়াশিংটন সফররত ইরাকি প্রধানমন্ত্রী মুস্তফা আল-কাজেমির সঙ্গে বৈঠকে হোয়াইট হাউসে তিনি এ ঘোষণা দেন।
দীর্ঘ যুদ্ধের সমাপ্তি ঘোষণা করে বাইডেন বলেন, ২০২১ সাল শেষে আমেরিকান সেনারা ইরাকি সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ ও সহযোগিতা করার দায়িত্ব পালন করবে; কিন্তু তারা সরাসরি কোনো যুদ্ধে অংশ নেবে না। তবে এই সাক্ষাতে ইরাক থেকে আমেরিকান সেনা সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করা হবে কিনা- সে সম্পর্কে মুখ খোলেননি বাইডেন।
‘২০২১ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর ইরাকে আর কোনো আমেরিকান সেনা যুদ্ধের ভূমিকা পালন করবে না’ বলে সাক্ষাতের পর দুই নেতা এক যৌথ বিবৃতিতে ঘোষণা দেন। উল্লেখ্য, ইরাকি প্রধানমন্ত্রী কাজেমি গত রবিবার রাতে এমন সময় যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান যখন তার দেশ থেকে আমেরিকান সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে ইরাকি পার্লামেন্টে পাস হওয়া আইন এখনও বাস্তবায়ন করা হয়নি।
গণবিধ্বংসী অস্ত্র অর্থাৎ পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে এমন অজুহাতে ২০০৩ সালের ১৯ মার্চ ইরাকে আগ্রাসন চালায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও তাদের মিত্রদেশগুলো।
গণবিধ্বংসী অস্ত্র তৈরির ব্যাপারে অনেক গোয়েন্দা তথ্য আছে-অজুহাত দিয়ে আরব দেশটিতে আগ্রাসন চালানো হলেও যুদ্ধের পর এ ধরনের ‘নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা তথ্য’ ভুল প্রমাণিত হয়। সে সময়কার অনেক সামরিক কর্মকর্তাই পরবর্তীতে স্বীকার করেন ইরাক আগ্রাসন ভুল ছিল। যদিও সেই ২০০৩ সাল থেকে এখনও কার্যত ইরাক শাসন করে চলেছে যুক্তরাষ্ট্র। কারন তাদের সেনারা এখনও বিকল্প সরকারের ভূমিকাতেই কাজ করছে।