ফিলিস্তিনে আরও ৬৯ জনকে হত্যা করেছে ইসরাইল । হামলায় আহত হয়েছেন আরও ৩৬২ জন। ১১ আগষ্ট সোমবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৬৯টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে, এছাড়া আহত হয়েছে ৩৬২ জন।

এ হামলার মধ্যদিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজা উপত্যকায় ইসরাইলের গণহত্যামূলক অভিযানে কমপক্ষে ৬১ হাজার ৪৯৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এছাড়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মোট আহতের সংখ্যা ১ লাখ ৫৩ হাজার ৫৭৫ জনে দাঁড়িয়েছে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সুত্র আরও বলা হয়েছে, অ্যাম্বুলেন্স এবং সিভিল ডিফেন্স টিম পৌঁছাতে না পারায় এখনও অনেক ভুক্তভোগী ধ্বংসস্তূপের নিচে এবং রাস্তায় আটকা পড়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মানবিক সাহায্য নিতে গিয়ে ইসরাইলি হামলায় ২৯ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ১২৭ জন আহত হয়েছেন। যার ফলে সাহায্য নিতে গিয়ে নিহত ফিলিস্তিনির মোট সংখ্যা ১,৮০৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আর গত ২৭ মে থেকে ১৩ হাজার ২১ জনেরও বেশি ২৭ মে থেকে ১৩,০২১ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, দুর্ভিক্ষ ও অপুষ্টির কারণে গত ২৪ ঘণ্টায় এক শিশুসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এর ফলে উপত্যকাটিতে মানবিক সংকট আরও গভীর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুর্ভিক্ষে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২২২ জনে দাঁড়িয়েছে, যার মধ্যে ১০১ জন শিশুও রয়েছে।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরাইলি ভূখণ্ডে ঢুকে অতর্কিত হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের যোদ্ধারা। এদিন ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যার পাশাপাশি ২৫১ জনকে জিম্মি হিসেবে ধরে নিয়ে যায় তারা। হামাসের হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের মুক্ত করতে ওই দিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরাইলি বাহিনী।

১৫ মাসেরও বেশি সময় ধরে টানা অভিযান চালানোর পর যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যস্থতাকারী অন্যান্য দেশগুলোর চাপে বাধ্য হয়ে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। কিন্তু বিরতির দু’মাস শেষ হওয়ার আগেই গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় অভিযান শুরু করে আইডিএফ।

এছাড়া গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পাশাপাশি উপত্যকাটিতে আগ্রাসনের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার মামলার মুখোমুখিও রয়েছে ইসরাইল।