ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় আরও ৫৩ জন ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ১৬টি ভবনও। যার মধ্যে তিনটি আবাসিক ভবন রয়েছে। এ ছাড়া, উত্তরাঞ্চলীয় নগর কেন্দ্র দখল এবং স্থানীয়দের বাস্তুচ্যুত করার লক্ষ্যে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) এই হামলায় গাজা উপত্যকায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়। এ ছাড়া, পুষ্টিহীনতায় আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে গাজায় ক্ষুধার অভাবে নিহত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২২ জনে।

গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রোববার নিহতদের মধ্যে দুইজন শিশু অপুষ্টিজনিত কারণে মারা গেছে। চলমান যুদ্ধের মধ্যে শুধুমাত্র ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪২২ জনে।

স্থানীয় সময় সকাল থেকে দক্ষিণ গাজার রিমাল মহল্লায় আল-কাওসার টাওয়ারকে লক্ষ্য করে একের পর এক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েলি বাহিনী। দুই ঘণ্টার ব্যবধানে ভবনটি মাটিতে মিশে যায়।

নিরবচ্ছিন্ন হামলা ও বোমাবর্ষণে হাজারো মানুষ তাদের ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন।

জাতিসংঘ বলছে, ইসরায়েলের গাজা সিটি দখল অভিযানে প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হতে পারে। কেবল ১৪ থেকে ৩১ আগস্টের মধ্যে জোরপূর্বক নতুন করে ৮২ হাজার মানুষকে ঘরবাড়ি ছাড়া করা হয়েছে, যার মধ্যে ৩০ হাজারকে উত্তর থেকে দক্ষিণে সরতে বাধ্য করা হয়েছে।

ইউনিসেফ সতর্ক করেছে, ২০২৬ সালের মাঝামাঝি নাগাদ পাঁচ বছরের নিচের ১ লাখ ৩২ হাজার শিশু তীব্র অপুষ্টিতে মৃত্যুর ঝুঁকিতে পড়বে। সর্বমোট ৩ লাখ ২০ হাজার ফিলিস্তিনি শিশু ভয়াবহ ক্ষুধার মুখে রয়েছে। তারা বলছে, দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে পড়ছে, শিশুদের এখনই জরুরি মানবিক সহায়তা, বিশেষ পুষ্টি পণ্য প্রয়োজন।