ইসরায়েলি হামলায় দুই দিনে (শুক্রবার ও শনিবার) নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ১২৮ জন নিহত এবং প্রায় ৯০০ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইরানি গণমাধ্যমগুলো।

রোববার (১৫ জুন) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে কিছু ইরানি সংস্থা এবং সংবাদমাধ্যম তাদের নিজস্ব পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। তবে এসব তথ্য সঠিকভাবে নিশ্চিত হতে পারেনি বলে জানিয়েছে বিবিসি।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে শনিবার জানানো হয়েছে, তেহরানের একটি ভবনে ইসরাইলি হামলায় ২০ শিশুসহ ৬০ জন নিহত হয়েছেন।

পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর বলেন, সেখানে ৩১ জন মারা গেছেন, যার মধ্যে ৩০ জন সামরিক কর্মী এবং ইরানি রেড ক্রিসেন্টের একজন সদস্য রয়েছেন।

ইরানি রেড ক্রিসেন্ট পশ্চিম আজারবাইজান প্রদেশে একটি অ্যাম্বুলেন্সে হামলায় দুইজন নিহত হওয়ার খবর জানায়। এছাড়া শনিবার জাতিসংঘে ইরানের রাষ্ট্রদূত বলেছিলেন, ইসরায়েলি হামলায় ৭৮ জন নিহত এবং ৩২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন।

ইরানের সরকারের মুখপাত্র ফাতেমেহ মোহাজেরানি জানান, গত তিন দিনে কমপক্ষে ৩০ জন নারী ও শিশু নিহত হয়েছে। তবে তিনি মোট মৃত্যুর সংখ্যা জানাননি। এছাড়া ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, শুক্রবার আইআরজিসি এরোস্পেস ফোর্সের কমান্ডারসহ ইসরায়েলের বিভিন্ন হামলায় ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডস কর্পস (আইআরজিসি) এর কমপক্ষে ১৮ জন সদস্য নিহত হয়েছেন। আলাদা হামলায় সাতজন পরমাণু বিজ্ঞানীও নিহত হন।

এদিকে টানা তৃতীয় দিনের মতো ইরানে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। রোববার বিকালের পর দেশটির রাজধানী তেহরানে নতুন করে বিস্ফারণের শব্দ শোনা গেছে। তেহরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে শাহরাক-ই-গারব এবং সাদাত আবাদ এলাকায় বিকট আকারে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়াও ইরানের মধ্যাঞ্চলীয় শহর ইসফাহানে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সদর দফতর লক্ষ্য করেও হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। তবে, ওই হামলায় এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

অন্যদিকে ইসরায়েলের তেল আবিব ও আশপাশের শহরগুলোতে শনিবার (১৪ জুন) রাতভর ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়েছে ইরান। এই হামলায় বহু ভবন বিধ্বস্ত হয়ে কমপক্ষে ১১ ইসরায়েলি নিহত এবং প্রায় ২৪০ জন আহত হয়েছেন। এছাড়া বেশ কয়েকজন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল।