নিম্নমানের ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয়ে সরকারের ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগ সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য ইসির ৬ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সম্প্রতি দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান টিমের প্রধান মো.রাকিবুল হায়াত স্বাক্ষরিত নির্বাচন কমিশনে পাঠানো এ সংক্রান্ত চিঠি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, নিম্নবর্ণিত অভিযোগের বিষয়ে অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য দুদকের সহকারী পরিচালক মো.রাকিবুল হায়াতকে দলনেতা করে ৩ সদস্যের একটি দল গঠন করা হয়েছে। অন্য দুই সদস্যরা হলেন— সহকারী পরিচালক মো. নাছরুল্লাহ হোসাইন ও উপসহকারী পরিচালক মিনু আক্তার সুমি।
অভিযোগের বিষয়ে চিঠিতে বলা হয়েছে, অভিযোগের কে এম নুরুল হুদা, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার অন্যান্যের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও সরকারি আর্থিক বিধি বিধান লঙ্গনপূর্বক সমীক্ষা ছাড়াই প্রকল্প গ্রহণপূর্বক টেন্ডার ব্যতীত বাজার মূল্যের চেয়ে ১০গুন বেশি দামে দেড় লক্ষ নিম্নমানের ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ক্রয় করে সরকারের প্রায় ৩ হাজার ১৭২ কোটি টাকা কোটি টাকা ক্ষতিসাধনের অভিযোগ উঠেছে।
ইসির যে ৬ কর্মকর্তাকে তলব করেছে দুদক তারা হলেন— ওই সময়ের ইসি সচিবালয়ের উপপ্রধান মো.সাইফুল হক চৌধুরী, সহকারী প্রধান মো.মাহফুজুল হক, ইসির আইডিয়া প্রকল্পের আইটি সিস্টেম কনসালটেন্ট এএইচএম আব্দুর রহিম খান, উপসচিব (চ.দা) ফরহাদ হোসেন,সিস্টেম এনালিস্ট ফারজানা আখতার ও ওই সময়ের সিনিয়র মেইন্টেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন।
এ ৬ কর্মকর্তাকে আগামী বুধবার (২ জুলাই) দুর্নীতি দমন কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য প্রদান করে অনুসন্ধানে সহযোগিতা করতে বলা হয়েছে চিঠিতে।