ঈদুল ফিতরের ছুটির আগে শ্রমিকদের সব বকেয়া-বেতন, পূর্ণ বোনাস পরিশোধ, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে মহার্ঘ্য ভাতা প্রদান, নিত্যপণ্যের রেশন ব্যবস্থা ও জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণার দাবি জানিয়েছে সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্ট।

শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে আয়োজিত এক বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে এসব দাবি জানানো হয়।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, উৎসব বোনাস শ্রমিকের অধিকার। কিন্তু প্রতি বছর ঈদের আগে শ্রমিকদের ন্যায্য বোনাস থেকে বঞ্চিত করতে বিভিন্ন টালবাহানা করা হয়। শ্রম আইনে বোনাস সর্বোচ্চ কতটুকু হবে তা উল্লেখ করলেও নিম্নসীমা নির্দিষ্ট না থাকায় শ্রমিকদের ন্যায্য বোনাস থেকে বঞ্চিত করার সুযোগ নেওয়া হয়। ২৭ এপ্রিলের পর থেকে মাসের অবশিষ্ট দিনগুলো ছুটি থাকবে। তাই এপ্রিল মাসের পূর্ণ বেতন শ্রমিকদের প্রাপ্য। কোনো টালবাহানা না করে এক মাসের মূল মজুরির সমান বোনাস ও এপ্রিলের পূর্ণ বেতন ঈদের ছুটির আগেই পরিশোধ করতে হবে।

বেতন-বোনাস পরিশোধের পাশাপাশি ঈদের ছুটিতে শ্রমিকদের নিরাপদে বাড়ি যাওয়ার ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়ে তারা বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে শ্রমিকের প্রকৃত মজুরি প্রায় অর্ধেকে নেমে যাওয়ায় শ্রমিকদের জীবনমানের মারাত্মক অবনমন হয়েছে। দেশের উন্নয়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধির চিত্রের সঙ্গে শ্রমিকদের জীবনমানের চিত্র সঙ্গতিপূর্ণ নয়। তাই শ্রমিকদের দৈনন্দিন জীবনযাপনের মান ধরে রাখতে জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা ঘোষণাসহ স্কপের ৯ দফা বাস্তবায়ন করতে হবে। অন্তর্বর্তী সময়ে মহার্ঘ্য ভাতা ও নিত্যপণ্য রেশনের ব্যবস্থা করতে হবে।

শ্রমিকদের প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত করার চেষ্টা হলে উদ্ভূত পরিস্থিতির দায় মালিকদের বহন করতে হবে বলেও সমাবেশে থেকে হুাশিয়ারি জানানো হয়।

সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সমাজতান্ত্রিক শ্রমিক ফ্রন্টের সহ-সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব বুলবুল, সাংগঠনিক সম্পাদক খালেকুজ্জামান লিপন, অর্থ সম্পাদক জুলফিকার আলী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, নির্বাহী সদস্য এস.এম.কাদির, সাইফুল ইসলাম শরীফ, এম.এ.মিল্টন, জামাল হোসেন, রুহুল আমিন সোহাগ, মোহাম্মদ সোহেল, আনিসুর রহমান,আনোয়ার খান, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।