ঈদুল আযহার দ্বিতীয় দিনে রাজধানী সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চলছে পশু কোরবানী। ঈদের দিনে বৃষ্টি হওয়ারা কারণে কেউ কেউ পশু জবাই দেননি। এছাড়া, কসাই সংকট সহ বিভিন্ন কারণে সবাই ঈদের দিন কোরবানি করতে পারেনি। আবার কেউ কেউ ঈদের প্রথম দিনের পাশাপাশি দ্বিতীয় দিন পশু কোরবানি করছেন। তবে প্রথম দিনের তুলনায় এ সংখ্যা অনেক কম।

সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ঈদের দ্বিতীয় দিন সকালে পশু কোরবানি দিচ্ছেন অনেকে। দ্বিতীয় দিনে একাধিক কোরবানিদাতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রথমদিন সবাই কোরবানি করেন, তাই কসাই পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে তারা দ্বিতীয় দিনে পশু কোরবানি করেন।

এ বিষয়ে ডেমরা এলাকার বাসিন্দা সোহানুর মিয়া বলেন, ‘ঈদের প্রথম দিন কসাই পাওয়া যায়নি। এ কারণে দ্বিতীয় দিনে পশু কোরবানি দিলাম।’

রাজধানীর মগবাজার এলাকার মুজিবর বলেন, ‘আমরা পেশাদার কসাই সংকটের কারণে ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিচ্ছি। আমরা মৌসুমি কসাই দিয়ে গরু কোরবানি দেব না। এছাড়া আমাদের দ্বিতীয় দিনে কোরবানি করার রেওয়াজ রয়েছে। এ কারণে ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিচ্ছি।’

কেউ কেউ আবার ঈদের দিন গরু কিনেছেন, তাই সেদিন কোরবানি দিতে পারেননি। তাই তারা আজ কোরবানি দিচ্ছেন। শ্যামলী এলাকার বাসিন্দা অলিউর রহমান বলেন, ‘ঈদের আগের দিন গরু কিনতে পারিনি। ঈদের দিন গরু কিনে বাড়ি ফিরতে ভোর হয়ে গেছে। কসাই ঠিক করতে পারিনি। তাই ঈদের দ্বিতীয় দিন কোরবানি দিচ্ছি।’

এদিকে দ্বিতীয় দিনের কোরবানি বর্জ্য অপসারণের জন্যও প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, প্রথম দিনের  কোরবানি বর্জ্য আমরা রাত দেড়টার মধ্যে অপসারণ করেছি। আজকেও আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মীরা কাজ করছে৷ আজ কোরবানি তুলনামূলক কম হওয়াতে আশা করছি আরও কম সময়েই আমরা বর্জ্য অপসারণ করতে পারবো।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) জনসংযোগ কর্মকর্তা মকবুল হোসেন জানান, দ্বিতীয় দিনের কোরবানি বর্জ্য তাদের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গেই সরিয়ে নিচ্ছেন। তবে বিভিন্ন কীটনাশক ও ব্লিচিং পাউডার পরে একসঙ্গে দেওয়া হবে।