ঈদের আগে ও পরে মোট ১১ দিন সব ধরনের বাল্কহেড চলাচল বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন নৌপুলিশ প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ। এছাড়া শুধু রাতে স্পিড বোট বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানে নৌ-পুলিশের সদর দপ্তরে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

সভায় নৌপুলিশপ্রধান বলেন, আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ঘরমুখো মানুষের নৌপথে ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন রাখতে নৌপুলিশ বদ্ধপরিকর। পবিত্র ঈদে নৌ যাত্রীদের নিরাপত্তা দিতে নৌপুলিশ সব নৌঘাট, নৌ টার্মিনালগুলোতে দায়িত্ব পালন করবে। নৌপথে নিরাপত্তা বিধানে সব নৌযানগুলোর চলাচলের বিষয়ে নৌপুলিশের বিশেষ নজরদারি থাকবে। তিনি বলেন, সময়ের চেয়ে মানুষের জীবনের মূল্য অনেক বেশি। কোনো নৌযান যেন প্রতিযোগিতামূলকভাবে বেশি যাত্রীবোঝাই করে বেশি স্পিড দিয়ে নৌযান না চালায়।

অতিরিক্ত আইজিপি মোহা. আবদুল আলীম মাহমুদ বলেন, নৌপথে যে কোনো সমস্যায় নৌপুলিশের কন্ট্রোল রুমের নম্বর- ০১৩২০১৬৯৫৯৮ অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধম্যে নৌপুলিশকে অবগত করলে নৌপুলিশ সঙ্গে সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

নৌপুলিশপ্রধান বলেন, ঈদুল ফিতর উদযাপনে নৌপথ ব্যবহারকারী প্রত্যকেই যেন নিরাপদে তাদের পরিবার-পরিজনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারেন, সেটি নিশ্চিত করতে নৌপুলিশ সবসময়ই আপনাদের পাশে থাকবে।

নৌপথে নিরাপদ যাত্রায় সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো

লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহণ করা থেকে বিরত থাকা, ছোট ও ত্রুটিপূর্ণ লঞ্চে যাত্রী পরিবহণে বিরত থাকা, লঞ্চে যাত্রী সংখ্যার আনুপাতিক হারে লাইফ জ্যাকেট, বয়া প্রভৃতির ব্যবস্থা রাখা, আবহাওয়ার পূর্বাভাস জেনে নৌযান চালানো, সূর্যাস্তের পর বালুবাহী বাল্কহেড ও স্পিড বোট চলাচল বন্ধ রাখা, ঈদপূর্ববর্তী ৫ দিন, ঈদ এবং ঈদপরবর্তী ৫ দিনসহ মোট ১১ দিন বালুবাহী বাল্কহেড চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রাখা, চাঁদাবাজি, চুরিসহ যে কোনো হয়রানি বন্ধে বিশেষ নজরদারি বৃদ্ধি করা, নৌযান চলাচলের পথে মাছ শিকারের জন্য জাল প্রতিরোধ করা, কাগজপত্রবিহীন কোনো নৌযান না চালানো, ন্যায্যমূল্যে ভাড়া আদায়ে তদারকি, টার্মিনাল ব্যতীত নদীর যে কোনো জায়গায় অন্য কোনো ছোট নৌযান থেকে যাত্রী উঠানো বা নামানো বন্ধ নিশ্চিতকরণ, সব নৌযানে পর্যাপ্ত ফায়ার ফাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা।

সভায় বিআইডব্লিউটিএ, বিআইডব্লিউটিসি, বাঅনৌচ (যাপ), লঞ্চ মালিক সমিতি, নৌপরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ নৌপরিবহণ শ্রমিক ফেডারেশন, কার্গো ট্রলার শ্রমিক ইউনিয়ন, বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন, বাংলাদেশ কার্গো ট্রলার বাল্ক হেড শ্রমিক ইউনিয়ন, লঞ্চ লেবার অ্যাসোসিয়েশন বাঘা বাড়ি, সুন্দরবন নেভিগেশন সদরঘাট, এমকে শিপিং লাইন্সসহ নৌযান ও নৌপথের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ও নৌপুলিশের সব অঞ্চলের পুলিশ সুপারসহ নৌপুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।