এলেন-দেখলেন-চলে গেলেন এই হলো ডারবান টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের সারাংশ। কোনো ব্যাটসম্যান থিতু হওয়া তো দূর, নূন্যতম লড়াইটুকুও করতে পারলেন না। শেষ অবধি অলআউট হতে হলো নিজেদের ইতিহাসের সর্বনিম্ন ৫৩ রানে।

২৭৪ রানের লক্ষ্য এমনিতে সহজ নয়, কিন্তু যেভাবে বাংলাদেশ গুটিয়ে গেল এমনটাও নিশ্চয়ই ভাবেনি কেউ। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ যে অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ৫৩ রানে। ম্যাচ হেরেছে ২২০ রানে।

আগের দিনই অবশ্য বোঝা যাচ্ছিল কাজটা বেশ কঠিনই হতে যাচ্ছে। মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম ও মুমিনুল হক ফেরত গিয়েছিলেন কেবল ৮ রান যোগ করে। কিন্তু কাজটা আসলে এত কঠিন কেইবা ভেবেছে!

বাংলাদেশ যে শেষদিনে খেলতে পারেনি এক ঘণ্টাও। ওভারের সংখ্যায় খেলেছে মাত্র ১৩ ওভার। তাতেই হারিয়ে ফেলেছে সাত উইকেট। বাংলাদেশের ১০ ব্যাটসম্যানকে আউট করতে দুই স্পিনার সিমন হার্মার ও কেশভ মহারাজ ছাড়া আর কাউকে ব্যবহারই করেননি প্রোটিয়া অধিনায়ক ডিন এলগার।

শেষ দিনের শুরুটা হয়েছে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহিমকে দিয়ে। আর্ম বল বুঝতে না পেরে এলবিডব্লিউ হন তিনি। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি, ফেরেন শূন্য রান করেই। পরের ব্যাটসম্যান লিটন দাস ফেরেন মিড অনে দাঁড়িয়ে থাকা মাহারেজের হাতে সাদামাটা ক্যাচ তুলে দিয়ে। ৬ বলে ২ রান করে।

বাকিরাও কেউই থিতু হতে পারেননি। যিনি হয়েছিলেন, সেই নাজমুল হোসেন শান্তও টানতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৫২ বলে ২৬ রান করে তিনি আউট হন স্টাম্পিং হয়ে। ৫৩ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। কেশভ মহারাজ ৭ আর হার্মার নেন ৩ উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

দক্ষিণ আফ্রিকা প্রথম ইনিংস: ১২১ ওভারে ৩৬৭/১০ (টেম্বা বাভুমা ৯৩, ডিন এলগার ৬৭; খালেদ আহমেদ ৪/৯২, মেহেদী হাসান মিরাজ ৩/৯৪)

বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১১৫.৫ ওভারে ২৯৮/১০ (মাহমুদুল হাসান জয় ১৩৭, লিটন দাস ৪১, নাজমুল হোসেন শান্ত ৩৮; সাইমন হার্মার ৪/১০৩)

দক্ষিণ আফ্রিকা দ্বিতীয় ইনিংস: ৭৪ ওভারে ২০৪/১০ (ডিন এলগার ৬৪, রায়ান রিকেটরটন ৩৯*; এবাদত হোসেন ৩/৪০, মেহেদি মিরাজ ৩/৮৫)

বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৯ ওভারে ৫৩/১০ (শান্ত ২৬, তাসকিন ১৪, ইয়াসির ৫, জয় ৪, সাদমান ০, মুমিনুল ২, মুশফিক ০, লিটন ২, মিরাজ ০; কেশভ মহারাজ ৭/৩২, হারমার ৩/২১)।

ফল : দক্ষিণ আফ্রিকা ২২০ রানে জয়ী।

ম্যাচসেরা : কেশভ মহারাজ

সিরিজ: দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা।