মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে জান্ত সেনাদের সাথে বিদ্রোহীদের গোলাগুলি অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার পালংখালী সীমান্তের রহমতের বিল বেড়িবাঁধে ও থাইংখালী এলাকায় ৩টি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেছে স্থানীয়রা। তবে সীমান্ত এলাকা হওয়ায় মরদেহ উদ্ধার ও পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি।
মরদেহ পড়ে থাকার বিষয়টি পুলিশকে জানিয়েছে বিজিবি। তবে নিরাপত্তা জনিত কারণে এখনো মরদেহ গুলো উদ্বার করা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামীম হোসেন।
এদিকে, টেকনাফের উনছিপ্রাং সীমান্ত এলাকায় আবারও গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। নাফ নদের তীরে মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে অনেকে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।
পালংখালীর ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল গফুর বলেন, ‘মঙ্গলবারে সীমান্ত মিয়ানমারের অভ্যন্তরে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। সেদিন হেলিকপ্টার থেকে গোলা ছুড়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। সেই গুলিতে তাদের মৃত্যু হতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, গ্রামবাসীর ধারণা মরদেহগুলো মিয়ানমারের নাগরিকের।
উখিয়া থানার ওসি শামীম হোসেন বলেন, উখিয়া সীমান্তের রহমতের বিল এলাকায় কয়েকটি মরদেহ পড়ে আছে। স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে এমন খবর পেয়ে শুক্রবার দুপুরে পুলিশ সেখানে যায়। কিন্তু সীমান্তের একেবারে কাছাকাছি মরদেহগুলো থাকায় নিরাপত্তাজনিত কারণে পুলিশ তা উদ্ধার করতে পারেনি। তবে চেষ্টা চলছে।
এছাড়াও শুক্রবার দুপুরে ঘুমধুম ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড তমব্রু পশ্চিমকূল এলাকা থেকে একটি মর্টার শেল উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয়রা ধানক্ষেতে কাজ করতে গিয়ে মর্টারশেল দেখতে পেয়ে প্রশাসনকে খবর দেন। পরে বিজিবির সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে মর্টারশেলটি নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে।