শেয়ারবাজারে গতি ফেরাতে ১৬৯ প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে দিয়েছে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম এখন থেকে একদিনে সর্বোচ্চ এক শতাংশ কমতে পারবে। অন্যদিকে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে স্বাভাবিক সার্কিট ব্রেকার কার্যকর হবে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এরপর বিএসইসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় উভয় স্টক এক্সচেঞ্জকে এ বার্তা দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি লেনদেন খরা আরও প্রকট হয়েছে। সেইসঙ্গে দেখা দিয়েছে টানা দরপতন। শেষ ছয় কার্যদিবস শেয়ারবাজারে টানা দরপতন হয়েছে। আর লেনদেন হয়েছে তিনশো থেকে চারশো কোটি টাকার ঘরে। এমন পরিস্থিতিতে ১৬৯ প্রতিষ্ঠানের ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানালো বিএসইসি।
সার্কিট ব্রেকারের বর্তমান নিয়মানুযায়ী, ২০০ টাকার নিচে থাকা প্রতিষ্ঠানের শেয়ার বা ইউনিটের দাম একদিনে সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ বাড়তে পারে। একইভাবে ২০০ থেকে ৫০০ টাকার মধ্যে থাকা প্রতিষ্ঠানের ৮ দশমিক ৭৫ শতাংশ, ৫০০ থেকে ১০০০ টাকার মধ্যে থাকলে ৭ দশমিক ৭০ শতাংশ, ১০০০ থেকে ২০০০ টাকার মধ্যে থাকলে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, ২০০০ থেকে ৫০০০ হাজার টাকার মধ্যে থাকলে ৫ শতাংশ এবং ৫০০০ টাকার ওপরে হলে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়তে পারে।