উত্তরাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হয়েছে। সকাল থেকে তিস্তার বিভিন্ন পয়েন্টে পানি কমতে শুরু করেছে। লালমনিরহাট ও রংপুরের নিম্নাঞ্চলে গত একদিনে পানি কমেছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। তবে, এখনও জলমগ্ন চার জেলার অন্তত ৩৫টি গ্রাম। তিস্তা ব্যারেজের ৪৪ টি জলকপাটই খুলে দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার (তেসরা আগষ্ট) সকালে বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে তিস্তার পানি।

এদিকে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম, আঙ্গোরপোতা, হাতীবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারী, সিন্দুর্ণা, ডাউয়াবাড়ী,কালিগঞ্জ উপজেলার চরবৈরাতী, ভোটমারী, শৈলমারী, আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচা, চন্ডিমারী, গোবর্ধন, সদর উপজেলার খুনিয়াগাছ, বাগডোরা, রাজপুর, কালমাটিসহ ২০টি গ্রামের ১৫হাজার পরিবারের বাড়ীতে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে। বন্যার্তরা আশ্রয় নিয়েছে উচু সড়কে। বন্যা এলাকায় খাবারের কষ্টে ভুগছেন বন্যার্তরা। এদিকে বন্যার পানি প্রবেশ করায় হাতীবান্ধা উপজেলায় ২টি, কালিগঞ্জ উপজেলায় ২টি, আদিতমারী উপজেলায় ৪টি সদর উপজেলায় ২টিসহ ১০টি বিদ্যালয়ে পাঠদান সাময়িক বন্ধ রয়েছে।

লালমনিরহাটে এখনো পানিবন্দি রয়েছে ১৫হাজার পরিবার। পানির নিচে রয়েছে আমন বীজতলা ও রোপা আমন খেত। বন্যার্তরা আশ্রয় নিয়েছে উচু সড়কে। সাময়িক বন্ধ রয়েছে হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার মোট ১০টি বিদ্যালয়ে পাঠদান।

এদিকে, দেশের উত্তরাঞ্চলে যে বন্যা দেখা দিয়েছে তা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। তবে স্বল্প মেয়াদের এই বন্যা শেষে চলতি মাসের মাঝামাঝি অথবা শেষের দিকে আবারও বন্যা হতে পারে বলে জানিয়েছে পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র।

এদিকে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, বর্তমানে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় রয়েছে। এ কারণে সারাদেশেই বৃষ্টি হচ্ছে। যা অব্যাহত থাকতে পারে পুরো সপ্তাহ।