সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে মিসাইল হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে পাঁচজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ভোরে দামেস্কের একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় মিসাইল হামলা ও হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শী ও কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে রোববার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

সামরিক সূত্রের বরাত দিয়ে সিরিয়ার সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, মধ্যরাতের পরপরই ইসরায়েল রাজধানীতে বেশ কয়েকটি এলাকা লক্ষ্য করে অভিযান চালানো হয়। এতে বেসামরিক লোকদের মধ্যে পাঁচজন নিহত ও ১৫ জন আহত হয়েছেন। বেশ কয়েকটি আবাসিক ভবনও ক্ষতিগ্রস্ত হয় এ হামলায়।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক গ্রুপ সিরিয়ান অবজারভেটরি ফর হিউম্যান রাইটসের প্রধান রামি আবদেল রহমান বলেছেন, ‘রোববারের হামলা সিরিয়ার রাজধানীতে ইসরায়েলের সবচেয়ে ভয়াবহ ছিল।’

কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে কি না তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

ইরানপন্থি হিজবুল্লাহর শীর্ষ কমান্ডার ইমাদ মুগনিয়াহ ২০০৮ সালে কাফর সুসাতে বোমা হামলায় নিহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, কড়া পাহারার এ এলাকায় একটি সাংস্কৃতিক কেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি ইরানি নিরাপত্তা সংস্থা রয়েছে।

 

দামেস্ক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় দুই সেনাসহ চারজন নিহত হওয়ার এক মাসেরও বেশি সময় পর এ হামলার ঘটনা ঘটলো।

এদিকে, সিরীয় সরকার ও জাতিসংঘ জানিয়েছে, দেশটির উত্তরাঞ্চলে ভূমিকম্পে মারা গেছেন ৫ হাজার ৮০০ জন। তবে কয়েকদিন ধরেই যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বাড়েনি। ভূমিকম্প আঘাত হানার তিন দিন পর সিরিয়ার বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে প্রথম সাহায্য পৌঁছায়। জাতিসংঘ জানিয়েছে, গত ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ত্রাণবাহী ট্রাক তুরস্ক থেকে সিরিয়ার ওই অঞ্চলে প্রবেশ করছে।

সিরিয়ার যুদ্ধ চলছে প্রায় ১১ বছর ধরে। দেশটির বাশার আল-আসাদ সরকারকে সমর্থন দিচ্ছে রাশিয়া ও ইরান। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্সসহ পশ্চিমা দেশগুলো বাশার আল-আসাদবিরোধী। তাদের সঙ্গে রয়েছে তুরস্ক, সৌদি আরবসহ আরও কয়েকটি আরব দেশ।

২০১১ সালের মার্চে দেশটিতে যে সংকটের সূচনা হয়েছিল তার সুরাহা হয়নি এখনো। জাতিসংঘের তথ্য বলছে, ২০২২ সালেরর শুরুর দিকে সিরিয়ার ১ কোটি ৪৬ লাখের বেশি মানুষের মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। প্রায় ৫ লাখ সিরীয় শিশু ভয়াবহ অপুষ্টিতে ভুগছে। উদ্বাস্তু হয়েছে কয়েক লাখ সিরীয়।