দেশবাসীর স্বপ্নের পদ্মাসেতু আগামী ২৫শে জুন উদ্বোধন করা হলেও ওইদিনই সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল করবে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পরদিন ২৬শে জুন সকাল থেকে পদ্মাসেুত যান চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। আজ (বুধবার) বেলা ১১টায় রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে সেতু বিভাগ আয়োজিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন উপলক্ষে মতবিনিময় সভায় মন্ত্রী এসব তথ্য জানান।

এসময় তিনি জানান, পদ্মা সেতু উদ্বোধন উপলক্ষে দু’টি অনুষ্ঠান হবে। একটি মাওয়া প্রান্তে, আরেকটি জাজিরা প্রান্তে। মাওয়া প্রান্তে হবে সুধী সমাবেশ। যেখানে শুধুমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাই কথা বলবেন। এরপর তিনি মাওয়া প্রান্তে উদ্বোধনী ফলক ও ম্যুরাল উদ্বোধন করবেন।

সেতু উদ্বোধন অনুষ্ঠান এবং আলোচনা সভায় খুলনা, বরিশাল এবং ঢাকার আশপাশের জেলার প্রায় ১০ লক্ষ মানুষ অংশ নিবে। সকাল ১০টায় মাওয়া প্রান্তে পদ্মাসেতু উদ্বোধন করবেন। পরে সকাল ১১টায় সেতুর অপর প্রান্তে কাঠালবাড়ি ঘাটে জনসভা অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া সকাল ১০টার আগে সবাইকে অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হতে হবে। পদ্মা এলাকায় সকাল ১০টার পর সব ধরণের নৌ চলাচল বন্ধ থাকবে। সেতু উদ্বোধনের দিন থেকে ৩০শে জুন পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে। অনুষ্ঠানগুলো একসঙ্গে ৮টি বিভাগে, ৬৪ জেলায় সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সেতু বিভাগের সচিব মঞ্জুর হোসেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শাহজাহান খান, আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কৃষিবিদ আ. ফ. ম বাহাউদ্দীন নাসিম, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামিম,  প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ও আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা কর্মী এবং সংসদ সদস্যরা।