প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিল্প, যোগাযোগ আর অবকাঠামোগত উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আজ বদলে গেছে। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ১৪ বছর ধরে সরকারে আছে। আমরা বাংলাদেশকে বদলে দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। বাংলাদেশ আজ বদলে গেছে। আমরা চাই উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’। রোববার (১৩ই নভেম্বর) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতিকারক ও রফতানিকারক সমিতি আয়োজিত ‘মেইড ইন বাংলাদেশ উইক’ অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।

প্রথমবারের মতো এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ। সপ্তাহব্যাপী প্রদর্শনীতে বিদেশি ক্রেতারা অংশ নেবেন। বাংলাদেশকে ব্রান্ডিং করার পাশাপাশি বাংলাদেশের পোশাক খাত সম্পর্কে ক্রেতাদের স্বচ্ছ ধারণা দিতে এ আয়োজন করা হয়েছে বলে জানায় বিজিএমইএ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কর্মসংস্থান ব্যাংকের মাধ্যমে যুবকদের বিনা জামানতে ঋণের ব্যবস্থা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার। রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল তৈরি করা হয়েছে। করোনা মোকাবিলায় পোশাকশিল্পে আর্থিক প্রণোদনা দিয়েছে সরকার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, দেশের সাড়ে ১৬ কোটি মানুষ, তাদের নিরাপদ খাদ্য দিতে হবে। আমরা কারও কাছ থেকে ভিক্ষা করে চলতে চাই না, নিজের উৎপাদন নিজে করবো। সে জন্য ফসলি জমি রক্ষা করা, যত্রতত্র শিল্প-কারখানা না গড়ে তুলে পরিবেশবান্ধব
কারখানা গড়ে তোলার আহ্বান জানাচ্ছি। তার ব্যবস্থাও আমরা নিচ্ছি।

dhakapost

তিনি বলেন, ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছি। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশাল উন্নতি হয়েছে। পদ্মা সেতুসহ শত শত সেতু করেছি। সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো করেছি। এসবের মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশ না, দক্ষিণ এশিয়া, পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাও সৃষ্টি করছি।

শেখ হাসিনা বলেন, এই ১০০টি অঞ্চলে দেশি বিদেশি বিনিয়োগ চাই। এগুলো বর্জ্যব্যবস্থাপনা থেকে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা পাবেন। এখানে বহুমুখী বিনিয়োগ হউক, অঞ্চলভিত্তিক কৃষি পণ্য উৎপাদন হয়, কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য গড়ে উঠুক। এর চাহিদা কখনো দেশ ও বিদেশে কমবে না।

ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তৈরি হোন পরিস্থিতির জন্য, ব্যবসায়ী সুবিধা এবং সোর্সিংয়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত জায়গা বাংলাদেশ। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের স্বাগত জানাই পাশাপাশি দেশি উদ্যোক্তাদের বলবো, আপনারও পার্টনার হিসেবে বিদেশি উদ্যোক্তাদের খুঁজে নিন। কারণ বিনিয়োগের চমৎকার পরিবেশ রয়েছে।

এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, বিনিয়োগের সব ধরনের সুযোগ সুবিধা রয়েছে বাংলাদেশে, কারণ আমাদের নীতিমালা বিনিয়োগবন্ধব। একই সঙ্গে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা রয়েছে।

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য আমাদের শ্রমিক তাদের প্রশিক্ষিত করতে হবে উল্লেখ্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি শ্রকিদের প্রতি দৃষ্টি দিচ্ছি। আপনারাও শ্রমিকদের প্রতি দৃষ্টি দিচ্ছেন। তারা যাতে সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশ কাজ করতে পারে, মনযোগ দিতে পারে তা একান্তভাবে প্রয়োজন। সবাইকে শ্রমিকদের ওপর বিশেষ সৃষ্টি দিতে হবে।

কারণ হিসেবে তিনি বলেন,  আমার রাজনীতি হচ্ছে এদেশের কৃষক, শ্রমিক, মেহনতি মানুষের জন্য। তাদের দক্ষতা যোগ্যতা কাজে লাগাতে হবে। সাড়ে ১৬ কোটির ওপরে মানুষ। তাদের খাদ্য নিরাপত্তা দিতে হবে। নিজেরা উৎপাদন করতে হবে। ভিক্ষা করে চলবো না।