বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে উন্নয়নের প্রতিটি খাতে দুর্নীতি প্রতিরোধে দুর্নীতি দমন কমিশনকে সর্বাত্মক প্রয়াস চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ আজ (সোমবার) সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন-২০২২ পেশ করলে রাষ্ট্রপতি এই নির্দেশ দেন।
এসময় দুদক কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক খান এবং মোঃ জহুরুল হক ও সচিব মোহাম্মদ মাহবুব হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাতকালে দুদক চেয়ারম্যান প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক এবং কমিশনের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার উপর জোর দেন।
দুর্নীতি দমন করতে গিয়ে কমিশনের কোন কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে দুর্নীতিতে জড়িয়ে না পড়ে তা নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এসময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের কাছে কমিশনের বার্ষিক প্রতিবেদন- ২০২২ পেশ করেন। এসময় কমিশনের সদস্য বিচারপতি আবু বক্কর সিদ্দিকী এবং বিচারপতি এ টি এম ফজলে কবীর উপস্থিত ছিলেন।
সাক্ষাৎকালে কমিশনের চেয়ারম্যান প্রতিবেদনের বিভিন্ন দিক এবং কমিশনের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় আইন প্রণয়নই যথেষ্ট নয়, প্রয়োজন আইনের যথাযথ প্রয়োগ। তাই আইন প্রয়োগ করতে গিয়ে কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হলে তা দূর করতে হবে।
রাষ্ট্রপতি দেশের বিদ্যমান আইন কানুন যুগোপযোগী ও মানুষের জন্য কল্যাণকর করতে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আইন কমিশনের প্রতি আহ্বান জানান।