বাংলাদেশের ভোলা উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ মূল অংশ। আজ (সোমবার) রাত ১১টায় সিত্রাং ভোলা উপকূলে আঘাত হেনেছে। উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘সিত্রাং’ আরো উত্তর-উত্তর-পূর্ব দিকে অতি দ্রুত অগ্রসর হয়ে আজ (২৪শে অক্টোবর) রাত ০৯টায় ভোলার ওপর দিয়ে বরিশাল-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। পরবর্তী ০৩-০৪ ঘন্টার মধ্যে এটি উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.নি, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। মোংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরসমূহকে ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত (পুন:) ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ

সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী ও চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। সেইসাথে এসব এলাকায় ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮৮ কি.মি. বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত (পুন:) ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ০৬ (ছয়) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। সেইসাথে এসব এলাকায় ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৭৫ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

দেশের অন্যান্য জেলায় ভারীবর্ষণসহ ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, কুমিল্লা, ফরিদপুর, ঢাকা, মাদারিপুর, গোপালগঞ্জ, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, টাঙ্গাইল, কিশেরগঞ্জ, ময়মনসিংহ ও সিলেট জেলার নদী বন্দর মূহকে ০৩ (তিন) নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত (পুন:) ০৩ (তিন) নম্বর নৌ-বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়, অমাবশ্যা তিথি ও বায়ুচাপ পার্থক্যের আধিক্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ০৫-০৮ ফুট অধিক উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।