প্রয়োজনীয় অর্থ না থাকায় শূন্য হওয়া সংসদীয় আসনগুলোর উপনির্বাচনে ভোটকেন্দ্রে সিসি ক্যামেরা স্থাপন সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মোহাম্মদ আলমগীর। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন ভবনে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে একথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘ইভিএম প্রকল্প এখনো অনুমোদন না হওয়ায় আগামী জাতীয় নির্বাচনে দেড়শো আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে ভোটগ্রহণ নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেন মোহাম্মদ আলমগীর। তবে প্রকল্প অনুমোদন হবে বলে নির্বাচন কমিশন আশাবাদী। নির্বাচন কমিশনার আরও জানান, ইসির কাছে থাকা ইভিএমের মাধ্যমে ৭০ থেকে ৮০টি আসনে ভোটগ্রহণ সম্ভব।

মো. আলমগীর বলেন, প্রকল্প এখনো অনুমোদন পায়নি। সবশেষ কী অবস্থায় আছে তা এখনো পরিকল্পনা কমিশন থেকে জানায়নি। তবে কমিশন সভায় এটা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। যদিও এজেন্ডাভুক্ত নয়, তবু আলোচনা হতে পারে। আলোচনা হলে একটা সিদ্ধান্ত হতে পারে।

তিনি বলেন, প্রকল্পের কর্মকর্তা যারা আছেন, তাদের বক্তব্য বৈঠকে শোনা হবে। এরপর নির্বাচন অধিশাখার কর্মকর্তা এবং টেকনিক্যাল কর্মকর্তার বক্তব্য শুনবো। তারপর বলা যাবে কতদিনের মধ্যে কতটা সময় পেলে কত আসনে ইভিএমে ভোট করতে পারবো।

নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ইভিএম মেশিন দুই লাখ না হয়ে আরও কম হতে পারে। হয়তো এক লাখ হতে পারে। কমও তো হতে পারে। তবে পরিকল্পনা কমিশন এখনো ইয়েস বা নো কোনোটাই তো বলেনি। যেহেতু ইয়েস, নো কোনোটাই বলেননি, সেহেতু চূড়ান্তভাবে তারা কিছু বললে আমরাও বলতে পারবো।