কক্সবাজারের রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবিরগুলোতে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৯৫টি শিশু জন্ম নিচ্ছে। বছরে এই সংখ্যা ৩০ হাজার। জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে চায় না রোহিঙ্গারা। ফলে তাদের মাঝে শিশু জন্মহার বেশি। রোহিঙ্গা সংকটে নতুন করে মাথা ব্যথার কারণ এই উর্ধ্বমুখী জন্মহার।
২০১৭ সালের ২৫শে আগস্টের পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে সেদেশের সেনাবাহিনীর নিপীড়নের মুখে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেন কয়েক লাখ রোহিঙ্গা। সরকার ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআরের তথ্য মতে, ২০২৩ সালের ৩১শে জানুয়ারি পর্যন্ত হালনাগাদে কক্সবাজারের ক্যাম্পগুলোতে মোট নিবন্ধিত রোহিঙ্গা আছে ৯ লাখ ৫৪ হাজার ৭০৭ জন। পরিবার আছে ১ লাখ ৯৭ হাজার ৩০৩টি। এর মধ্যে ৩ শতাংশ পরিবারের সদস্য সংখ্যা ১০ জনের বেশি।
ক্যাম্পে থাকা বেশিরভাগ রোহিঙ্গা পরিবারই সংখ্যায় বড়। এর মূল কারণ তাদের উচ্চ জন্মহার। ক্যাম্পগুলোতে নিবন্ধিত রোহিঙ্গাদের মধ্যে ৫২ শতাংশই শিশু। তাদের বয়স শূন্য থেকে ১৭ বছর।
গেলো ছয় বছরে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে জন্ম নিয়েছে ১ লাখ ৫০ হাজার শিশু। এরমধ্যেই বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে কমেছে আন্তর্জাতিক সহায়তায়ও। যা সংকটকে আরও বেশি জটিল করছে বলে মনে করেন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।
রোহিঙ্গাদের মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা ও জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির ব্যবহার নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কাজ চলছে বলে জানান জেলা সহকারি সিভিল সার্জন মহিউদ্দিন আলমগীর।
তবে দ্রুত স্থায়ী প্রত্যাবাসন না হলে রোহিঙ্গা পরিস্থিতিতে কক্সবাজারে আরও নতুন সংকট তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন পৌরসভার মেয়র মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী।