উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফুটবলে রাতের ম্যাচে জয় দিয়ে নিজেদের গ্র“প-ই’র শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে ইংলিশ ক্লাব চেলসি। ইতালিতে স্বাগতিক এসি মিলানকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ইংলিশরা। চেলসির পক্ষে ১টি করে গোল করেছেন জরজিনহো ও অবোমেয়াং। ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট চেলসির। ডিনামো জাগরেবের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করে ৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে এফসি সলজবুর্গ। সমান ৪ পয়েন্ট নিয়ে তিন ও চারে মিলান ও জাগরেব।

মিলান শুরুতেই খায় বড় ধাক্কা। ১৮ মিনিটে তাদের খেলোয়াড় ফিকায়ো তোমোরি লাল কার্ড দেখলে ১০ জনের দল নিয়ে পেরে ওঠেনি চেলসির সঙ্গে। এই সুযোগের সদ্ব্যবহার করে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল টানা চতুর্থ জয় পেয়ে গেলো। পটারের অধীনে এখনও তারা অপরাজিত।

পটার বলেছেন, ‘এখানে এসে জেতা সহজ নয়। খেলোয়াড়দের কৃতিত্ব দিতে হয়, তারা সত্যিই ভালো ছিল। আমাদেরও ভাগ্য ভালো ছিল যে প্রতিপক্ষ ১০ জনের হয়ে গিয়েছিল।’

গত সপ্তাহে ৩-০ গোলে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মিলানকে হারায় চেলসি। ইতালিয়ান জায়ান্টদের বিপক্ষে আরেকটি জয়ের পথ তৈরি হয় গোলের জন্য এগোতে থাকা ম্যাসন মাউন্টকে তোমোরি বক্সের মধ্যে টেনে ধরলে। মাউন্ট না পড়ে গেলেও ড্যানিয়েল সিয়েবার্ট চেলসিকে পেনাল্টি দেয়। মিলানের খেলোয়াড়দের প্রতিবাদে তিন মিনিট পার হওয়ার পর স্পট কিক থেকে গোল করেন জর্জিনিয়ো।

মিলান কোচ স্টেফানো পিওলি বলেছেন, ‘পেনাল্টি ও লাল কার্ড সবকিছু বদলে দিলো। আমি কোনও মন্তব্য করতে চাই না। আমি আমার চিন্তাভাবনা রেফারিকে বলেছিলাম, ইংরেজি খুব ভালো বলতে পারি না কিন্তু আমি মনে করি সে বুঝেছে।’

চেলসি একজন বেশি নিয়ে খেলার সুবিধা আরেকবার নেয় ৩৪তম মিনিটে। পিয়েরে এমেরিক অবেমেয়াং মাউন্টের পাস থেকে তিন ম্যাচে তৃতীয় গোল করেন।

চেলসিও ছোট্ট ধাক্কা খেয়েছে। ম্যাচের এক ঘণ্টা পর রিচি জেমস ইনজুরির কারণে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হন। এই মৌসুমে ব্লুদের জার্সিতে দারুণ ফর্মে তিনি। তার এই চোটের কারণে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ইংল্যান্ডের কপালেও।