উয়েফা নেশন্স লিগে হাঙ্গেরিকে ২-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারালো ইতালি। আর দারুণ এই জয়ে লিগের ফাইনালে উঠে গেল ইতালি। চার দলের ফাইনালসে যেতে এই ম্যাচে ড্র করলেই চলত হাঙ্গেরির। ইতালির সামনে জয়ের বিকল্প ছিল না। বুদাপেস্টের পুসকাস অ্যারেনায় সোমবার রাতে ২-০ গোলে জিতে লক্ষ্য পূরণ করল রবের্তো মানচিনির দল।
৬ ম্যাচে তিন জয় ও দুই ড্রয়ে ১১ পয়েন্ট নিয়ে ‘এ’ লিগের তিন নম্বর গ্রুপের সেরা হলো ইতালি। সমান ম্যাচে তিন জয় ও এক ড্রয়ে ১০ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে হাঙ্গেরি।
গ্রুপের শীর্ষে থেকে শেষ রাউন্ডে খেলতে নামা হাঙ্গেরি পঞ্চম মিনিটেই গোল খেতে বসেছিল। ডান দিক থেকে ইতালির ব্রায়ান ক্রিস্তানতের শটে জোর ছিল না তেমন। বল স্বাগতিক গোলরক্ষক পেতার গুলাসির হাত ফসকে জালে জড়াতে যাচ্ছিল। তবে গোললাইন থেকে ক্লিয়ার করেন ডিফেন্ডার আতিলা সালাই।
২৭তম মিনিটে আর রক্ষা হয়নি তাদের। ইতালিকে একরকম গোল উপহার দেয় তারা। এক ডিফেন্ডার ব্যাকপাস দেন গোলরক্ষকের উদ্দেশ্যে। এগিয়ে এসে গুলাসি বল ক্লিয়ার করতে পারেননি ইতালির উইলফ্রেদের চাপে পড়ে। কাছেই বল পেয়ে ফাঁকা জালে পাঠান জিয়াকোমো রাসপাদোরি।
পাঁচ মিনিট পর প্রায় দ্বিগুণ হতে যাচ্ছিল ইতালির ব্যবধান। রাসপাদোরির পাসে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জিওভান্নি দি লরেন্সোর নিচু শট পোস্ট ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। বিরতির আগে ম্যাচে ফেরার সুবর্ণ সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি হাঙ্গেরির উইলি ওরবান। দমিনিক সোবোসলাইয়ের ফ্রি-কিক ডি-বক্সে পেয়ে আদাম সালাই পাস দেন দূরের পোস্টে, কিন্তু কাছ থেকে ফাঁকা জালে শট নিতে পারেননি ওরবান।
দ্বিতীয়ার্ধের পঞ্চম মিনিটে আবার সুযোগ হারায় তারা। ডাবল সেভ করে জাল অক্ষত রাখেন ইতালির গোলরক্ষক জানলুইজি দোন্নারুম্মা। পরক্ষণেই উল্টো ব্যবধান বাড়ায় ইতালি। নিকোলো বারেলা ডি-বক্সে খুঁজে নেন ক্রিস্তানতেকে। ডান দিকের বাইলাইনের কাছ থেকে এই মিডফিল্ডারের পাস দূরের পোস্টে পেয়ে ফাঁকা জালে বল পাঠান ফেদেরিকো দিমারকো।
৫৫তম মিনিটে আরেকটি দারুণ সেভ করেন দোন্নারুম্মা। কাছ থেকে কালাম স্তাইলিসের হেড পা দিয়ে ফেরান পিএসজির গোলরক্ষক। শেষ দিকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারেনি সফরকারীরা। তবে লক্ষ্য পূরণের জন্য যথেষ্ট হয় ওই দুই গোলই।
পূর্ণ ঘোষণা অনুযায়ী এই ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলকে বিদায় জানালেন হাঙ্গেরির অধিনায়ক ও ৩৪ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড আদাম সালাই।