একটি নির্দোষ কথোপকথনকে ঘুঁটি বানানোর চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, আমি টেলিফোনে একজন উপদেষ্টার উত্তর দিচ্ছিলাম।

রোববার সচিবালয়ে আইনজীবী সমিতির কাছে প্রধানমন্ত্রীর ২০ কোটি টাকার প্রণোদনার চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর একজন উপদেষ্টা এবং একজন মন্ত্রীর ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে। এ বিষয়ে আপনারা পদক্ষেপ নিচ্ছেন কিনা- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘অবশ্যই এটার তদন্ত করে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। ব্যাপারটা হচ্ছে, যারা এই অডিও নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রকাশ করছে, তারা এতই দেউলিয়া যে, একটা ইনোসেন্ট (নির্দোষ) কনভারসেশনকে (কথোপকথন) তারা তাদের ঘুঁটি বানানোর চেষ্টা করছে। এর মানে হচ্ছে, তাদের কাছে কোনো হাতিয়ার নেই।’

‘ব্যাপারটা হচ্ছে, আমি টেলিফোনে একজন উপদেষ্টার উত্তর দিচ্ছিলাম। তিনি একটা ব্যাপারে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। সেখানে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তি উপদেষ্টার প্রজেক্ট… ইনফো সরকার প্রজেক্টটা তার ব্রেইট চাইল্ড, সেটা নিয়ে আলাপ হয়েছে। দেউলিয়া যারা, এটা নিয়ে প্রচার করছে। আমরা মনে হয় এটাকে তদন্ত করা হবে’, বলেন তিনি।

বিষয়টি গুরুত্ব দেওয়া সঠিক হবে না বলেও মনে করেন সরকারের এ মন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এটাকে গুরুত্ব দেওয়াও আমরা মনে হয় সঠিক হবে না।’

কয়েকটি দল সার্চ কমিটির জন্য নাম জমা দেননি। যারা নাম দেননি তারা বলছে এই নির্বাচন কমিশনের জন্য আইন করে কোনো লাভ হবে না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এখানে দুটি জিনিস আপনার প্রশ্নের মধ্যে উত্তর রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘তারা কেয়ারটেকার (তত্ত্বাবধায়ক) সরকারের আন্ডারে (অধীনে) নির্বাচন করতে চান না। ব্যাপারটা হচ্ছে সুপ্রিম কোর্টের দুটি বিভাগ কেয়ারটেকার সরকারকে অবৈধ ঘোষণা করেছে। সেখানে বলা ছিল, যা হয়ে গেছে তা অবৈধ হলেও এই কেয়ারটেকার পদ্ধতিতে আরও দুই-একবার নির্বাচন করতে পারে, যদি সংসদ তাতে রাজি হয়। কিন্তু যখন আইন পাস হয় সংসদ কিন্তু সে সাজেশন গ্রহণ করেনি। সেক্ষেত্রে কেয়ারটেকার সরকারের কোনো বৈধতা নেই। এই রায়ের আলোকে কেয়ারটেকার সরকারের ফিরে যাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই।’

‘দুই, যারা যাননি তারা… সার্চ কমিটি কিন্তু একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কাজ করে যাচ্ছে। অতীতে আইন যেহেতু ছিল না। সার্চ কমিটি যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করে কাজ করে যাচ্ছেন, সে প্রক্রিয়া তারা আগে ফলো করেননি। এখন যেটা করছেন আইনের কারণে করছেন। সবার সঙ্গে বসে একটা ঐক্যমতের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনে ১০ জনের নাম সুপারিশ করার চেষ্টা করছে। যেহেতু তারা চেষ্টা করে যাচ্ছেন, চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে, আমি সেখানে কোনো বক্তব্য রাখব না’, বলেন আনিসুল হক।