তুমুল সংঘর্ষ চলছে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে। বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) কাছে একের পর এক ঘাঁটি হারাচ্ছে জান্তা। মঙ্গলবার দেশটির স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, সোমবার রাজ্যের ঐতিহাসিক ম্রাউক ইউ শহরের সেনাবাহিনীর ঘাঁটিটি দখল করে নিয়েছে আরাকান আর্মি। সেনাবাহিনীর সদর দপ্তর দখলের অভিযানের সময় ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় মিয়ানমার জান্তার অনেক সেনা হতাহত হয়েছে। দ্য ইরাবতী।

গেল কিছুদিন ধরে রাখাইন রাজ্যটির দিকে বেশি নজর বিদ্রোহীদের। এজন্য এই রাজ্যের ঘাঁটিগুলো দখলে মরিয়া হয়ে উঠেছে সরকার বিরোধীরা। আর সফলতাও মিলেছে তাদের। মঙ্গলবার আরাকান আর্মি জানিয়েছে, রাজ্যটিতে জান্তা বাহিনীর সবগুলো ঘাঁটি দখলে নিয়েছে তারা। পাশাপাশি তাদের কাছে পরিবারসহ আত্মসমর্পণ করেছে সেনা সদস্যরা। আত্মসমর্পকারীদের সংখ্যা পাঁচশতাধিক বলে জানিয়েছে তারা।

নজর রাখাইন রাজ্যে হলেও অন্যান্য রাজ্যগুলোতেও চুপ নেই বিদ্রোহীরা। সবখানেই লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে  জান্তা বাহিনীর সাথে। নতুন করে মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের হপাকান্ত ও মানসি শহরে সামরিক বাহিনীর দুটি ঘাঁটি নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে পিপলস ডিফেন্স ফোর্সেস ও কাচিন ইনডিপেনডেন্স আর্মি। এই দুই ঘাঁটি দখলের জন্য গত এক সপ্তাহ ধরে সামারিক বাহিনীর সাথে লড়তে হয়েছে তাদের।

এদিকে, বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর চাপে রীতিমত নাস্তানাবুদ হয়ে পড়েছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে প্রাণে বাঁচতে বাংলাদেশ ও ভারতে অনুপ্রবেশ করছে সেনারা। এ অবস্থায় পুরো মিয়ানমার সীমান্ত জুড়ে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। ১ হাজার ৬ শত ৪৩ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় টহল বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে এক পোস্টের মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

এছাড়া মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ভারতীয়দের ভ্রমণে সতর্কতা জারি করেছে ভারত। এমনকি নাগরিকদের যারা সেখানে আছেন তাদের এখনই রাখাইন ছাড়তেও নির্দেশ দিয়েছে ভারত। মিয়ানমারে সামরিক বাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ার পর ভারত এই প্রথম এই ধরনের সতর্কতা জারি করল।