মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার সাগর ও স্থলপথ দিয়ে গত বছর ইউরোপে যাওয়ার সময় প্রায় ৪ হাজার অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে। ২০১৭ সালের পর এবারই ওই রুটে সর্বোচ্চ সংখ্যক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন’-আইওএম এর প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
উন্নত জীবনযাপনের আশায় প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে বহু মানুষ ইউরোপে পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু সাগর ও স্থলপথ দিয়ে অবৈধভাবে ইউরোপে যাওয়ার সময় মারা যায় অনেকে। আবার নিখোঁজও হয়। গত বছর মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার সাগর ও স্থলপথে ৩ হাজার ৮০০ জন অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে।
জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ‘ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন’-আইওএম এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২১ সালের তুলনায় ২০২২ সালে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকা রুটে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যু বেড়েছে ১১ শতাংশ। এর আগে ২০১৭ সালে মারা গিয়েছিল ৪ হাজার ২৫৫ জন অভিবাসন প্রত্যাশী।
গত বছর স্থলপথে সর্বোচ্চ অভিবাসন প্রত্যাশীর মৃত্যু ঘটেছে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেনের রুটগুলোতে। এছাড়া ভূমধ্যসাগরে নৌকাডুবিতে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যুর হারও ২০১৭ সালের পর গত বছর বেশি ছিল বলে জানিয়েছে আইওএম।
আইওএমের আঞ্চলিক পরিচালক ওথমান বেলবেইসি বলেছেন, সাহারা মরুভূমি ও ভূমধ্যসাগরে অভিবাসন প্রত্যাশীদের মৃত্যুর সংখ্যা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। মানবিক সংকট মোকাবিলা ও প্রাণহানি রোধে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।