২০২২ সালে চাকরিরত অবস্থায় বিভিন্ন পদমর্যাদার ২৯১ পুলিশ সদস্য বিভিন্ন কারণে মারা গেছেন। যাদের মধ্যে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে মারা গেছেন ১২১ জন। আজ (বুধবার) রাজধানীর মিরপুর পুলিশ স্টাফ কলেজে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে ২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব তথ্য জানান পুলিশ সদর দফতরের অতিরিক্ত আইজিপি (লজিস্টিকস) মাজহারুল ইসলাম।
এর আগে পুলিশ মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে পুলিশ স্টাফ কলেজে স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে ২০১৭ সাল থেকে প্রতি বছর পহেলা মার্চ পালন করা হয় ‘পুলিশ মেমোরিয়াল ডে’।
কর্তব্যরত অবস্থায় নিহত পুলিশ সদস্যদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে ২০২২ সালে ১২১ জন বীর পুলিশ সদস্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। যতই বাধা আসুক না কেন দেশের স্বার্থে মানুষের স্বার্থে আপনাদের কাজ করে যেতে হবে।
তিনি বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য প্রতিবছরই মারা যান। বাংলাদেশ পুলিশের কল্যাণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবসময় অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। তার নির্দেশেই পুলিশ সদস্যদের জন্য পুলিশ কল্যাণ ট্রাস্টসহ নানা রকম কল্যাণমূলক কার্যক্রম চলমান রয়েছে।’
এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘যারা আত্মত্যাগ করেছেন, তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি। সেজন্য তাদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানাই।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সঙ্গে ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম, পুলিশ মহাপরিদর্শক চৌধুরী আবদুলাহ আল মামুন। নিহত পুলিশ সদস্যদের পরিবারের সদস্যরাও ফুল দিয়ে নিহতদের শ্রদ্ধা জানান।
এসময় সভাপতির বক্তব্যে পুলিশ প্রধান আবদুলাহ আল-মামুন বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ শতবর্ষের পুরানো একটা প্রতিষ্ঠান। দেশের সেবায়, মানুষের সেবায়, সরকারের নির্দেশনায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য সবসময় পুলিশ দায়িত্ব¡ পালন করছে। এদেশের মানুষকে নিরাপদে রাখার জন্য প্রতিনিয়ত বাংলাদেশের প্রতিটি সদস্য তাদের নিজে দায়িত্ব অত্যন্ত নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সঙ্গে পালন করছে। এ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে গত বছর ১২১ জন সদস্যকে আমরা হারিয়েছি।
আইজিপি বলেন, অন্য সংস্থার সদস্যরা কাজে যান, আবার সন্ধ্যায় ফিরে আসেন। কিন্তু পুলিশের কোনো কর্মঘণ্টা নেই, তারা ফিরে আসবে কিনা সে নিশ্চয়তা নেই। তাদের আত্মত্যাগ আমাদের উজ্জীবিত করে। পেশাগত দায়িত্ব পালনে আরও শানিত করে।
জীবন উৎসর্গকারী পুলিশ সদস্যের পরিবারে যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার আস্বস্ত করেন তিনি। পরবর্তীতে আইজিপি এসব পরিবারের স্ত্রী, সন্তান ও পিতা-মাতার খোঁজখবর নেন।