কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস জামিনে মুক্ত হয়েছেন। তাদের আইনজীবী জাকির হোসেন জুয়েল জানান, সন্ধ্যা ছয়টায় তাঁরা জেল থেকে বের হন। এ সময় জেলগেটে অপেক্ষায় থাকা বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নাড়েন।
এর আগে আজ সোমবার বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তাদের জামিননামা আদালতে দাখিল করা হয়। বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জামিন আদেশের নথিপত্র কারাগারে পৌঁছায়। তাঁদের জামিননামার কাগজপত্র যাচাইবাছাই করে দেখার পর মুক্তি দেয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।
মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন রোববার বহাল রাখেন আপিল বিভাগ। জামিন বাতিল চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বে আপিল বিভাগের চার সদস্যের বেঞ্চ রোববার এ আদেশ দেন। তাঁদের স্থায়ী জামিন প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল এক মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের ৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত হন এবং পুলিশসহ অর্ধশত ব্যক্তি আহত হন।
সংঘর্ষের পর রাতের বেলা বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায় পুলিশ। পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। এতে বিএনপির দুই হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের। সেখানে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।
৮ ডিসেম্বর গভীর রাতে নিজ নিজ বাসা থেকে ফখরুল ও আব্বাসকে তুলে আনে ডিবি পুলিশ। দুজনকে প্রথমে রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন তাদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।