রাজধানীর হাজারীবাগে নারী হোস্টেল থেকে ধানমন্ডি শাখার এনসিপির নারী নেত্রী জান্নাত আরা রুমীর (৩২) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) জিগাতলা জান্নাত নারী হোস্টেলে পঞ্চম তলা ভবনের পঞ্চম তলার রুম থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের মর্গে পাঠায় পুলিশ।

জানা গেছে, রুমী এনসিপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণের ধানমন্ডি থানার যুগ্ম সমন্বয়কারীর দায়িত্বে ছিলেন। চলতি বছরের ৬ নভেম্বর ঘোষিত সমন্বয় কমিটিতে জায়গা হয় তার। রুমী নওগাঁ জেলার পতœীতলা উপজেলার নাজিরপুর থানাধীন মো. জাকির হোসেনের মেয়ে। তার মায়ের নাম নুরজাহান। পুলিশ জানায়, ভোরে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯ এ ফোন করে রুমীর বিষয়টি জানায় ছাত্রী হোস্টেল কর্তৃপক্ষ। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়।

ধানমন্ডি জোনের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার জিসানুল হক জানান, ওই তরুণীর মরদেহ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়- পারিবারিক কলহের কারণে বেশ কিছুদিন হতাশায় ভুগছিলেন জান্নাতারা রুমী। ঘটনাটি আত্মহত্যা বলেও ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে রুমী মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগেই লিখেছিলেন, ‘একদিন ভোর হবে সবাই ডাকাডাকি করবে কিন্তু আমি উঠবো না.. কারণ আমি ভোরে উঠি না.!’ একটি দলবদ্ধ ছবির সঙ্গে এমন ক্যাপশনের অর্থ খুঁজে পাচ্ছেন না নেটিজেনরা। অনেকেই বলছেন এটি মজার ছলে করা একটি পোস্ট। আবার কেউ কেউ বলছেন, মৃত্যুর আগেই মানুষ বুঝতে পারে যে তার সময় শেষ হয়ে যাচ্ছে এমন কিছু কথা এবং আচরণ করে যেন সত্যিই ঘটবে। এছাড়া মৃত্যুর আগে শেষ স্ট্যাটাসে হাদিকে নিয়েও পোষ্ট দিয়েছিলেন এনসিপি নেত্রী রুমী। রুমী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে দেওয়া সর্বশেষ স্ট্যাটাসে তিনি ওসমান হাদির কথা উল্লেখ করেন। ওই স্ট্যাটাসে তিনি লেখেন, ‘ইয়া আল আল্লাহ, হাদিকে ভাইকে আমাদের খুব দরকার।’