দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের অভিযাত্রার মাইলফলক হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। বলেছেন, আমরা আজ দাবি করতে পারি, আমাদের গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা আছে। বিরোধী অপশক্তি নির্বাচন বানচালের সব ধরণের পন্থা অবলম্বন করে ব্যর্থ হয়েছে। শুক্রবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে আওয়ামী লীগের ধানমন্ডির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনার সাহসিকতার কারণে আমরা দাবি করতে পারি যে, দেশে গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতা রয়েছে। নির্বাচনের পরেও বিএনপির নেতৃত্বে চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা ষড়যন্ত্র করার পাঁয়তারা করছে।
তিনি বলেন, বিএনপি অংশ নিলে নির্বাচন আরও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হতো। তবে তাদর অনুপস্থিতিতেও ভোটারশূন্য হয়নি, প্রতিবন্দ্বিতাহীনও হয়নি। পৃথিবীর অনেক দেশে সব দলের অংশ নেয়ার পরও ৪০ শতাংশের ওপরে টার্ন আউট দেখা যায় না। ইউরোপসহ অনেক দেশে টার্ন আউট ২৫-৩০ শতাংশ হয়। আবার কোথাও কোথাও এর চেয়েও কম, যা আমরা জানি।
কাদের বলেন, আমাদের জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন ২০ জানুয়ারি হতে যাচ্ছে। এ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আমাদের দেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের অভিযাত্রার মাইলফলক।
তিনি আরও বলেন, সারা বিশ্বে একটা সর্বোগ্রাসী সংকট সবাইকে ঘিরে ধরেছে। যুদ্ধ তো লেগেই আছে। আমাদের এখানে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। অতীতে আমরা এত শীত দেখিনি। আমাদের অভিজ্ঞতা নেই।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন— সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, বি এম মোজাম্মেল হক, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দি, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ।